প্রতিনিধি ৭ আগস্ট ২০২৪ , ৮:১০:৩০ প্রিন্ট সংস্করণ
কারারক্ষীদের ওপর হামলা করে কুষ্টিয়া জেলা কারাগার থেকে বেশ কয়েকজন কয়েদি পালানোর ঘটনা ঘটেছে। তাদের মধ্যে আলোচিত মিলন হোসেনকে (২৭) ১০ টুকরো করে হত্যা মামলায় মূলহোতা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সজীব শেখসহ অন্তত ২০ থেকে ২৫ জন কয়েদি রয়েছেন। বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুর ১টা ৫০মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন কারারক্ষী আহত হয়েছেন।
এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য শতাধিক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেন কারারক্ষীরা। এমন পরিস্থিতিতে কারাগারে সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি টিম এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
জেল সুপার আব্দুল বারেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কয়েদিরা পালিয়েছে। তারা প্রথমে ভেতরের একটি গেট ভেঙে ফেলেন। এরপর মূল গেটে দায়িত্বরত কারারক্ষীদের ওপর হামলা করে এবং বেধড়ক মারধর করে পালিয়ে যায়। এতে ১০ থেকে ১৫ জন কারারক্ষী আহত হয়েছেন। কয়েদি সজিবের নেতৃত্বে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ২০ থেকে ২৫ জন কয়েদি পালিয়ে গেছে বলেন ধারণা করা হচ্ছে। পরে আরও অনেক কয়েদি বেরিয়ে যাওয়ার যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য শতাধিক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করা হয়।
প্রসঙ্গত, কিশোর গ্যাং গ্রুপের সন্ত্রাসীদের দাবি করা চাঁদা না দেওয়ার কারণে মিলন হোসেনকে হত্যার পর মরদেহ পদ্মার চরে পুঁতে ফেলা হয়। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় পদ্মা নদীর চরের চার স্থান থেকে মরদেহের ১০ টুকরো উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত মিলন হোসেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পূর্ব বাহির মাদি এলাকার মাওলা বক্সের ছেলে। তিনি আউটসোর্সিংয়ের কাজ করতেন। ১০ মাস আগে বিয়ে করেন। স্ত্রী মিমিকে নিয়ে কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের মধ্যে চার আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।