দেশজুড়ে

কেন্দুয়ায় দালালদের খপ্পর পড়া ৮০ জন মানুষকে বাঁচাল পাবেল

  প্রতিনিধি ২৯ জুন ২০২০ , ৫:২১:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ

কেন্দুয়ায় দালালদের খপ্পর পড়া ৮০ জন মানুষকে বাঁচাল পাবেল

মজিবুর রহমান, কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) : কেন্দুয়ায় অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা ও দালালদের খপ্পর পড়া ৮০ জন নিরীহ মানুষকে বাঁচাল স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা রোবেল খান পাবেল।

সম্প্রতি করোনা প্রার্দুভাবে সরকারের প্রনোদনা দেয়ার কথা বলে চিরাং ইউনিয়নের কাশিপুর ও বাট্রা গ্রামের ৮০ জন নিরীহ মানুষের নামে ঋণের হালনাগাদের (রিকভারী) নামে নতুন করে ঋণ দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলে বলিষ্টভাবে ভূক্তভোগীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের ঋণ মওকুফ করান পাবেল।

রোববার বিকালে ঋণ পরিশোধের ছাড়পত্র ভূক্তভোগীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এসময় রোবেল খান পাবেল, উপজেলা সেচ্চাসেবক লীগ নেতা আনোয়ার পারভেজ খানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

সুত্র জানায়, কেন্দুয়া অগ্রণী ব্যাংক শাখার মাঠ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম দালালদের মাধ্যমে চিরাং ইউনিয়নের কাশিপুর ও বাট্রা গ্রামের প্রায় ৮০ জন নিরীহ দিনমজুরকে করোনার প্রনোদনা দেয়ার কথা বলে দীর্ঘদিনের অনাদায়ী অন্যের শস্য ঋণের হালনাগাদের (রিকভারী) নামে নতুন করে ঋণ দেখিয়ে ভূক্তভোগীদের সামন্য টাকা দিয়ে ঋণের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে যায় ওই প্রতারক চক্র।

বিষয়টি জানা জানি হলে ওই প্রতারক চক্রটি ভূক্তভোগিদের কথা পাত্তা না দিয়ে তাদের সাথে আরো খারাপ আচারণ করে। পরে ভূক্তভোগীরা বাট্রা গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা রোবেল খান পাবেলের দ্বারস্থ হলে তিনি বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলে ব্যাংক কর্মকর্তাদের টনক নড়ে।

বিষয়টি নিয়ে ব্যাংকের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসন তদন্ত শুরু করেন। পরে অবস্থার বেগতিক দেখে ওই ব্যাংক কর্মকর্তা নিরীহ মানুষদের দেওয়া ঋণ পরিশোধ করে দেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা রোবেল খান পাবেল একজন পরোপকারি মানুষ। পেশায় একজন দলিল লেখক হলেও এলাকার অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে সব সময় থাকেন সোচ্চার।

ভূক্তভোগী বাচ্চু মিয়া জানান, ব্যাংকের লোকজন প্রতারণা করে আমাদেরকে ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিয়ে ছিল। পাবেল ভাইয়ের কারণে আজকে আমরা ঋণ মুক্ত হয়েছি।

এব্যাপারে রোবেল খান পাবেল জানান, এলাকার লোকজনের সুখে-দুঃখে পাশে থাকার চেষ্টা করি সব সময়। অগ্রণী ব্যাংকের দালাল চক্রের ফাঁদে পড়ে এলাকার প্রায় ৮০/৯০ জন নিরীহ মানুষকে ঋণে বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে জানতে পেরে প্রথমে ব্যাংকে যোগাযোগ করা হলে তারা নয়ছয় বোঝালে থানায় লিখিত অভিযোগ করি এবং বিষয়টি ব্যাংকের উর্ধতন কতৃপক্ষকে  জানাই।

পরে ব্যাংক কতৃপক্ষ ভূক্তভোগীদের ঋণের মওকুফ করে দিয়েছেন। তার মাধ্যমে প্রায় ৮০ জন ঋণ মওকুফ পেয়েছেন জানিয়ে তিনি আরো বলেন, তার একাজে সহযোগিতা করেছেন নেত্রকোণা-৩ আসনের সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল ও তার সহধর্মীনি অধ্যাপিকা অপু উকিল, কেন্দুয়া থানা ওসি রাশেদুজ্জামান, উপজেলা সেচ্চাসেবক লীগ নেতা আনোয়ার পারভেজ খান ও পৌর সেচ্চাসেবক লীগ নেতা আব্দুল হান্নান ভ্ইূঁয়া। তাদের কাছে তিনি কৃতজ্ঞা প্রকাশ করেছেন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by