রাজশাহী

গাবতলীতে খালের মুখ বন্ধ: শ্মশান হুমকির মুখে

  প্রতিনিধি ২২ জুন ২০২১ , ৮:৪৬:২৮ প্রিন্ট সংস্করণ

গাবতলী (বগুড়া) প্রতিনিধি:

বগুড়ার গাবতলীতে অবৈধভাবে পানি নিস্কাশনের খালের মুখবন্ধ করায় পাশের গাছসহ পার ধসে মহিষাবান কেন্দ্রিয় মহাশ্মশান হুমকির মুখে পড়েছে। শ্মশান রক্ষার্থে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে। এতে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্য ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার, এ্যাসিল্যান্ড ও স্থানীয় চেয়ারম্যান ঘটনারস্থল পরিদর্শন করেছেন।

জানা গেছে, গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের মহিষাবান কেন্দ্রীয় মহাশ্মশান ঘেঁষে চাউল কাটা খাল অতিবাহিত হয়ে গেছে। এই খালে সুদুর মাদলা অদ্দিরগোলা হতে পানি গড়িয়ে তা নিস্কাশন হয়ে মহিষাবান শাখা ইছামতি খালে বাহিত হয়। এই খালের কোল ঘেঁেষ অবস্থিত মহিষাবান কেন্দ্রিয় মহাশ্মশান।

শ্মশানের দক্ষিণপার্শ্বে খালের মধ্য মহিষাবান পূর্বপাড়ার জনৈক মোহম্মদ আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম খালের মুখ বন্ধ করে পানি গতিপথ বন্ধ করে দেয়। সে রাতে উক্ত খালের মধ্য মাছ শিকার করে বলে শ্মশান কমিটির লোকজন অভিযোগ করেন।

খালের মুখবন্ধ করায় পানি নিস্কাশন হতে না পারায় শ্মশানের উত্তর পার্শ্বে কয়েকটি গাছসহ পার ধসে শ্মশান হুমকির মুখে পড়েছে। যেকোন সময় মহিষাবান কেন্দ্রীয় মহাশ্মশান খালে বিলীন হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে।

এ ঘটনায় শ্মশান কমিটির সভাপতি নিকুঞ্জ কুমার পাল ও সাধারণ সম্পাদক শংকর কুমার রায় জানান, খালের মুখবন্ধ করায় শ্মশান হুমকির বিষয়টি নজরুল ইসলামকে জানানো হলেও তিনি কর্নপাত করেনি। ফলে পানি নিস্কাশন হতে না পারায় শ্মশানের গাছসহ পাড় ধসে শ্মশান হুমকির মুখে পড়েছে।

এ ঘটনায় সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার চেয়ে বিষয়টি শ্মশান কমিটির লোকজন প্রশাসনকে জানালে গতকাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. রওনজ জাহান, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোছা. সালমা আক্তার লিজা, স্থানীয় মহিষাবান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম ঘটনারস্থল পরিদর্শন করেন।

এ সময় শ্মশান কমিটি ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। এব্যাপারে অভিযুক্ত জনৈক নজরুল ইসলামের সাথে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করে তার কোন দেখা না পাওয়ায় তার মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি।

 

আরও খবর

Sponsered content

Powered by