চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে পাম্প বিকলে পানি সংকটের শঙ্কা

  প্রতিনিধি ১ এপ্রিল ২০২৪ , ২:২৮:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে পাম্প বিকলে পানি সংকটের শঙ্কা

দুই মাস ধরে কেন্দ্রীয় শীতাতপ ব্যবস্থা (সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশনার প্ল্যান্ট) নষ্ট হওয়ার পর এবার বিকল হলো চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আবাসিক এলাকার বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের কর্ণফুলী পাম্প।

এক বছর আগে বিমানবন্দরের মূল টার্মিনাল ভবনের গভীর নলকুপটি বিকল হয়ে গেলে বিমানবন্দর আবাসিক এলাকায় অবস্থিত দুটি পাম্প কর্ণফুলী পাম্প ও জাপানি গেট পাম্প থেকে বিমানবন্দর এলাকায় পানি সরবরাহ করা হচ্ছিলো। কিন্তু সে দুটি পাম্পের মধ্য থেকে কর্ণফুলি পাম্পটি গত দু’দিন ধরে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আবাসিক এলাকার বাসিন্দা ও বিমানবন্দর সংশ্লিষ্টদের মধ্যে এক ধরনের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

আবাসিক এলাকার দুটি পাম্পের একটি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে আরেকটি পাম্পের ওপর অত্যধিক চাপ সৃষ্টি হওয়ায় সেটিও যে কোন সময় বন্ধ হয়ে গেলে তৈরি হবে পানি সংকটের মতো পরিস্থিতি। যদিও সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পাম্পটি মেরামতের কাজ চলছে। পানি সরবরাহের অসুবিধা হচ্ছে না।খবর নিয়ে জানা গেছে, বিমানবন্দর টার্মিনালের মূল পানির পাম্পটি নষ্ট হয়েছে প্রায় বছরখানেক আগে।

এ অবস্থায় বিমানবন্দর আবাসিক এলাকার দুটি পাম্প থেকে পানি দিয়ে কাজ চালিয়ে আসছিলো কর্তৃপক্ষ। বিমানবন্দর আবাসিক এলাকায় থাকা দুটি পাম্প ‘কর্ণফুলী পাম্প’ ও ‘জাপানি পাম্প‘ নামের দুটি পাম্প থেকেই এ পানি সরবরাহ করা হয়। কিন্তু শনিবার থেকে হঠাৎ করে কর্ণফুলী পাম্পটি বিকল হয়ে পড়ে। এরপর পাশে থাকা ‘জাপানি গেট পাম্প’ নামের অন্য আরেকটি পাম্প থেকে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।

কিন্তু স্বল্প পানির কারণে হিমশিম খেতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। এছাড়াও একটি পাম্পের উপর অতিরিক্ত চাপের কারণে সেটিও বিকল হওয়ার আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা। জানতে চাইলে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাকিম আলী সরকার বলেন, ‘একটা পাম্পে ত্রুটি দেখা দিয়েছে। পাম্পটি মেরামতের কাজ চলছে।

বিকল্প হিসেবে আরেকটি পাম্প দিয়ে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোন অসুবিধা হচ্ছে না।’ উল্লেখ্য, দুই মাস ধরে বিমানবন্দরে শতকোটি টাকার কেন্দ্রীয় শীতাতপ ব্যবস্থা (সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশনার প্ল্যান্ট) নষ্ট হয়ে আছে। দীর্ঘদিন পরিষ্কার না করা এবং বেশি আয়রনযুক্ত পানি ব্যবহারের কারণে প্ল্যান্টের চারটি সিলার (ঠান্ডা বাতাস পরিবাহী পাইপ) নষ্ট হয়ে আছে বলে জানা গেছে।

এ অবস্থায় আপদকালীন ব্যবস্থা হিসেবে জরুরি ভিত্তিতে ঢাকা থেকে এয়ার ফ্লোর স্ট্যান্ডিং এসি এবং স্পিড টাইপ প্রায় ১০০টি এসি এনে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি পুরোপুরি সামাল দিতে আরও ৩০টি এসি লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বিকল হওয়ার পিছনে অপরিষ্কার আর নোনা পানিই অন্যতম কারণ বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by