বাংলাদেশ

জবাব দেয়নি‘কোনো প্রশ্নের’, ৫ দিনের রিমান্ডে ফারদিনের বান্ধবী

  প্রতিনিধি ১০ নভেম্বর ২০২২ , ৪:৫৮:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশকে কে বা কারা, কোথায়, কেন হত্যা করেছে সেসব কোনো প্রশ্নেরই জবাব এখনো মেলেনি। সেই সঙ্গে বান্ধবী বুশরার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল কি না সে বিষয়টিও এখনো পরিষ্কার নয়। এ কারণে তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুশরার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার ফারদিনের বান্ধবীকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রামপুরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. গোলাম মাওলা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিট ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত এ আদেশ দেন।

আদালতে সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা বিষয়টি জানিয়েছেন।

এর আগে গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে সাড়ে ৩টায় ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে বান্ধবী ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্রী বুশরাসহ আরও অজ্ঞাত কয়েক জনকে আসামি করা হয়।

এর কয়েক ঘণ্টার পর আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর রামপুরার নিজ বাসা থেকে বুশরাকে গ্রেপ্তার করেছে রামপুরা থানা পুলিশের একটি দল। ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ফারদিন হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিসি হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, ‌‘ফারদিন হত্যার মোটিভ এখনো জানা যায়নি। আমরা জানার চেষ্টা করছি। এ ছাড়া বুশরার সঙ্গে ফারদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল কি না তাও জানা যায়নি। আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি বুশরার সঙ্গে ফারদিনের বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে গ্রেপ্তার আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’

তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর ৭ নভেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। মরদেহ ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকরা জানান তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে, তাকে হত্যা করা হয়েছে।

এর আগে গত ৪ নভেম্বর রাতে নিখোঁজ হওয়ার আগে রামপুরায় বুশরাকে বাসায় নামিয়ে দেন ফারদিন। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by