বরিশাল

ঝালকাঠিতে নিত‍্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নাগালের বাইরে

  প্রতিনিধি ৯ মার্চ ২০২১ , ৮:১৮:২০ প্রিন্ট সংস্করণ

আতাউর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ

ঝালকাঠিতে প্রতিনিয়ত নিত‍্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নাগালের বাইরে,তাছাড়া কয়েক মাস ধরে বাড়তে থাকা চালের দাম এখনো ঊর্ধ্বগতি ।

পাশাপাশি ভোজ্য তেল, ডাল, আটা, ময়দা, চিনিসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও বেড়েই চলেছে । এছাড়া বেড়েছে মাছের দাম ও ব্রয়লার মুরগির দাম।

নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে নিম্ন আয়ের মানুষের। এদিকে, প্রকৃতি থেকে শীত বিদায় নিলেও বাজারে এখনো উঠছে শীতের সবজি।

সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে সবজির দাম। বেশির ভাগ সবজি পাওয়া যাচ্ছে ১৫ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে। তবে নতুন যেসব সবজি উঠছে, তার দাম কিছুটা বাড়তি। ঢেঁড়স, পটল ও করলার কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গতকাল বুধবার ঝালকাঠি শহরের বড় বাজার, পূর্ব চাদকাঠী বাজার এবং অন‍্যান‍্য বাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।

ওই দুটি বাজারে প্রতি কেজি চিকন মিনিকেট চাল ৬২-৬৪ টাকায়, নাজির শাইল ৬৮ থেকে ৭০ টাকায়, ভালো মানের বিআর-২৮ চাল ৫০-৫৪ টাকায়, পাইজাম ৪৮-৫০ টাকায় এবং মোটা গুটি ও স্বর্ণা চাল ৪৪-৪৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক লিটার খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২৬ টাকায়। বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়।

এছাড়া খুচরা দোকানে মোটা দানার মসুর ডাল ৭৫-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আটা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা ও চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬৮ টাকা দরে। আদা ৮০ টাকা, রসুন (চিনা) ১২০ টাকা, আলু ২৫ টাকা ও পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজার করতে আসা ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়েক মাস ধরে চালের চড়া দামে কোনো হেরফের হয়নি। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।

গত দেড় মাসে তেল, ডাল, আটা, ময়দা, চিনিসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। এতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষের। একের পর এক জিনিসের দাম বেড়েই চলছে। কিন্তু বাড়েনি আয়।

পরিস্থিতি এমন হয়েছে, নিম্ন আয়ের মানুষের টিকে থাকাই কঠিন হয়ে পড়েছে। ক্রেতাদের মতে, দামের এই লাগাম এখনই টেনে ধরা না হলে আসছে শবে বরাত, রমজান মাস ও ঈদুল ফিতরে সীমিত আয়ের মানুষেরা পড়বেন মহাসঙ্কটে।

আরও খবর

Sponsered content