দেশজুড়ে

ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় শিক্ষক ও দুই বান্ধবীর সাক্ষ্য গ্রহণ

  প্রতিনিধি ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১১:১৫:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ

ঢাবি শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার মজনু। পুরোনো ছবি

ভোরের দর্পণ অনলাইন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ধর্ষণের মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সামিনা লুৎফা ও ভুক্তভোগীর দুই বান্ধবীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারক বেগম কামরুনাহার তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

ট্রাইব্যুনাল ওই সাক্ষীদের জবানবন্দি রেকর্ডের পর আসামি মজনুর পক্ষে রাষ্ট্র কর্তৃক নিযুক্ত আইনজীবী মো. রবিউল ইসলাম সাক্ষীদের জেরা করেন। সাক্ষ্য গ্রহণকালে আসামি মজনুকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। মামলাটিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবারও সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য আছে। এ নিয়ে মামলাটিতে ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে ভুক্তভোগী ছাত্রী, তার বাবাসহ পাঁচজনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলো।

এর আগে গত ২৬ আগস্ট কারাগার থেকে ভার্চ্যুয়ালি চার্জগঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। সেখানে আসামি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।  মামলাটিতে গত ১৬ মার্চ ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আবু বক্কর সিদ্দিক আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় চলতি বছর ৯ জানুয়ারি আসামি মজনুর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ওই রিমান্ড শেষে তিনি গত ১৬ জানুয়ারি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই আছেন।

চার্জশিটে বলা হয়, গত ৫ জানুয়ারি ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ড থেকে ফুটপাত দিয়ে ৪০/৫০ গজ সামনে আর্মি গলফ ক্লাব মাঠ সংলগ্ন স্থানে ভুক্তভোগী (২১) পৌঁছালে আসামি মজনু পেছন থেকে তাকে গলা চেপে ধরে ফুটপাতে ফেলে দেন। ভুক্তভোগী চিৎকার করতে গেলে আসামি তাকে কিল-ঘুষি মেরে ভয়ভীতি দেখালে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তখন মজনু ওই ছাত্রীকে অচেতন অবস্থায়ই ধর্ষণ করেন। তিনি একজন অভ্যাসগতভাবে ধর্ষণকারী। মজনু প্রতিবন্ধী, পাগল, ভ্রাম্যমাণ নারীদের সম্মতি ব্যতীত এই অনৈতিক কাজ করে আসছেন। তিনি ভ্রাম্যমাণ অবস্থায় থাকেন। তার স্থায়ী কোনো বসবাসের জায়গা নেই।

এর আগে র‌্যাব-১, উত্তরা এর সিপিসি-১ এর চৌকশ দল গত ৮ জানুয়ারি মজনুকে ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন শেওড়া বাসস্ট্যান্ডের পূর্ব পাশ থেকে গ্রেপ্তার করে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by