প্রতিনিধি ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ৭:৫০:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ
মাঝখানে প্রমত্তা বলেশ্বর নদ। এই নদের পূর্ব পারে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার বড়মাছুয়া আর পশ্চিম পারে বাগেরহাটের শরণখোলার রায়েন্দা খেয়াঘাট। এই দুই ঘাট থেকে খেয়া পারাপারে দীর্ঘ দুই যুগেরও বেশি সময় চলে আসছিল যাত্রী হয়রানি।
১০টাকার খেয়া ভাড়া নেওয়া হতো ১০০টাকা থেকে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ২০০/৩০০টাকাও। এমনকি হাতে বহনযোগ্য ব্যাগ বা মালামালেরও ভাড়া নিত ইজারাদারের লোকেরা। এছাড়া প্রতিনিয়ত ইজারাদারের হাতে লাঞ্ছিত হতেন যাত্রীরা। এই খেয়াঘাট দুটি নির্যাতনের ঘাট হিসেবে পরিচিত সবার কাছে।
অবশেষে সেই হয়রানি আর নির্যাতন হাত থেকে যাত্রীদের মুক্ত করলেন দুই পারের দুই সংসদ সদস্য। যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনায় নিয়ে বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বড়মাছুয়া ফেরিঘাটে বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ ও পিরোজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য শামীম শাহ নেওয়াজ এক সমঝোতা সভার মাধ্যমে খেয়ার ডাক বন্ধ করে ফেরিতে যাত্রী পারাপারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বড়মাছুয়া ও রায়েন্দা খেয়াঘাটের চলমান ইজারার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে আগামী বৈশাখ মাস থেকে কেউ আর এই দুই খেয়া ঘাটের ইজারা নিতে পারবেন না। এছাড়া শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে দুটি ফেরি যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে নিয়োজিত থাকবে। প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা পর পর দুই পার থেকে চলাচল করবে। ফেরিতে পারাপারের জন্য যাত্রীদের কাছ থেকে ১০টাকা করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
যাত্রী হয়রানি বন্ধের এই সমঝোতা সভায় মঠবাড়িয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, শরণখোলা উপজেলা চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত, শরণখোলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমল হোসেন মুক্তা, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলন, মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুর রহমানসহ দুই উপজেলার আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ দুই পারের ভুক্তভোগী শত শত মানুষ উপস্থিত ছিলেন।