চট্টগ্রাম

দোহাজারীতে ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রয় করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা

  মো. কামরুল ইসলাম মোস্তফা ২৮ অক্টোবর ২০২৪ , ৩:৫৬:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ

দোহাজারীতে ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রয় করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা

“ন্যায্যমূল্যে সবজি নিন, সিন্ডিকেট প্রথা ভেঙে দিন”- এই স্লোগানে নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচাবাজারের পণ্যসামগ্রীর লাগামহীন মূল্য সহনীয় করার জন্য ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রয় কর্মসূচি হাতে নিয়েছে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ১০ টা থেকে দোহাজারী পৌরসভা সদরের হাজারী শপিং সেন্টারের সামনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে শিক্ষার্থীরা এই কার্যক্রম শুরু করেন। শিক্ষার্থীরা যে দামে শাক-সবজি বিক্রি করছে, তা বাজার থেকে কেজিতে অন্তত ৫ থেকে ১০ টাকা কম মূল্যে। বাজার থেকে কম দামে সবজি কিনতে পারায় অনেকেই ভিড় করছেন ন্যায্য মূল্যের দোকানে। নায্যমূল্যে শাক সবজি কিনতে পেরে খুশি হয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

ছাত্রদের ন্যায্য মূল্যের দোকানে গিয়ে দেখা গেছে মূল্যতালিকা সম্বলিত ব্যানার টানানো। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা দরে। এছাড়া বরবটি প্রতি কেজি ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১২৫ টাকা, ঢেড়স ৫০ টাকা, বেগুন ৭৫ টাকা, ঝিঙা ৪০ টাকা কেজি, মাঝারি লাউ প্রতি পিস ৩০/৩৫ টাকা ও পালং শাক প্রতি আঁটি ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। শিক্ষার্থী মঈন মির্জা, হোসাইন মোহাম্মদ আকিব, মোহাম্মদ জিকু, মোহাম্মদ আমজাদ, আরিফুল ইসলাম ও শোয়াইব ক্রেতাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছেন।

শিক্ষার্থী হোসাইন মোহাম্মদ আকিব বলেন, “দক্ষিণ চট্টগ্রামের সবজি ভান্ডার হিসেবে পরিচিত দোহাজারী পৌরসভায় রয়েছে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সর্ববৃহৎ পাইকারি সবজি বাজার। রেলওয়ে মাঠের এই বাজার থেকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন বাজারে সবজি সরবরাহ হয়। রেলওয়ে মাঠের পাইকারি বাজার থেকে কয়েকশ মিটার দূরত্বের বাজারে খুচরা পর্যায়ে সবজির লাগামহীন দাম আমাদের কাছে অযৌক্তিক মনে হয়েছে। শাক-সবজির যে উর্ধ্বগতি তা কমিয়ে আনতে অধিক মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের বার্তা দেওয়ার জন্য দোহাজারী রেলওয়ে মাঠের পাইকারি বাজার থেকে সরাসরি চাষীদের কাছ থেকে সবজি কিনে সাধারণ মানুষের কাছে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করা শুরু করেছি। বাজারে দ্রব্যমূল্য নির্ধারণের যে সিন্ডিকেট আছে তা ভাঙতে এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।”

শিক্ষার্থী মোহাম্মদ জিকু বলেন, “আমরা আগামী এক সপ্তাহ এই কার্যক্রম চালু রেখে বাজার পর্যবেক্ষণে রাখবো। এর মধ্যে যদি মূল্য সহনীয় পর্যায়ে না আসে তবে আগামী একমাস এই কার্যক্রম চালু রাখবো। আমরা চেষ্টা করছি সাধারণ মানুষকে কম দামে নিত্যপণ্য সরবরাহ করতে, তবে মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং প্রশাসনের বাজার মনিটরিং টিমের সহায়তা প্রয়োজন।”

ন্যায্য মূল্যের দোকান থেকে বাজার করতে আসা ক্রেতা সাংবাদিক সৈকত দাশ ইমন জানান, “বাজারে যে দাম তা আসলে হিসাব করতে গেলে এখন আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার ওপর একেক জায়গায় একেক রকমের দাম। মানুষ স্বল্পমূল্যে যেখানে পাবে, সেখান থেকেই বাজার করবে। প্রশাসনের উচিত বাজার মনিটরিং আরও শক্তভাবে করা। আর শিক্ষার্থীরা যে বাজার বসিয়েছে তা সাধারণ মানুষের খুবই কাজে আসবে। দোহাজারী পৌরসভার পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদেরকে একটি স্টল বরাদ্দ দেওয়ার জন্য পৌর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।”

আরও খবর

Sponsered content