দেশজুড়ে

নোবিপ্রবিতে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের ৪ দফা দাবিতে মানববন্ধন 

  প্রতিনিধি ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ , ৫:০৭:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ

নোবিপ্রবিতে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের ৪ দফা দাবিতে মানববন্ধন 

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) আইন বিভাগের সকল শিক্ষার্থীরা ৪ দফা সংশ্লিষ্ট দাবি নিয়ে মানববন্ধন করে। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা ১২:০০ টায় নোবিপ্রবির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে আইন বিভাগের সকল শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে। এতে বিভাগের ৫ টি ব্যাচ স্বতস্ফূর্তভাবে একসাথে যোগদান করে। 

উক্ত মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। তন্মধ্যে, “অবিলম্বে শিক্ষক নিয়োগ, দিতে হবে দিতে হবে”, “আমাদের দাবি আমাদের দাবি,মানতে হবে মানতে হবে”, “স্বজনপ্রিতী বন্ধ করো,বন্ধ করো বন্ধো করো” ইত্যাদি।

শিক্ষার্থীদের দাবিকৃত ৪ টি দফা হলো, ১. দ্রুত সময়ের মধ্যে সিনিয়র শিক্ষকসহ পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ, ২.পরীক্ষার খাতায় কোডিং সিস্টেম চালু করা, ৩. ইম্প্রুভমেন্ট রেজাল্ট ২.৭৫ পর্যন্ত উন্নতি করা, ৪. মুট কোর্টের জন্য রুম বরাদ্দ দেওয়া।

মানববন্ধন চলাকালীন আইন বিভাগের শিক্ষার্থী জাফর বলেন, ” আমরা আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছি। আমার দেখতে পাচ্ছি, স্বাধীনতা ২.০ এর পরেও আজ ৬ মাস পেরিয়ে গিয়েছে কিন্তু আমাদের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে অতিসত্বর শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে বলা হলেও এখন পর্যন্ত কিন্তু তা করা হয়নি। আমরা আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় বিভিন্ন ইউনিট থেকে সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়ে ভর্তি হয়েছি,  কিন্তু ভর্তি হওয়ার পরে আমরা বারংবার আশাহত হয়েছি। আমরা চাই অতিসত্তর আমাদের দাবিগুলো পূরন করা হোক “। 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আইন বিভাগের চেয়ারম্যান মো. জামসেদুল ইসলাম বলেন, ” শিক্ষার্থীদের ৪ টি দাবি যৌক্তিক। আমাদের ডিপার্টমেন্টে শিক্ষক সংকট রয়েছে। তবে এর একটা পার্ট-টাইম সমাধান করেছি নোয়াখালী বা বাহিরের কর্মরত এরকম ৪ জন জাজকে খণ্ডকালীন নিয়োগ দিয়ে। চেয়ারম্যান হিসেবে আমার চাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় যাতে আমাদের ডিপার্টমেন্টে পার্মানেন্ট শিক্ষক নিয়োগ দেয়। কোডিং পদ্ধতি একাডেমিক কাউন্সিলে পাস হয়েছে, তবে ইম্প্রুভমেন্ট ৩.৭৫ এ দেওয়া নিয়ে একাডেমিক কাউন্সিল তা পাস করেনি। মুট কোর্টের জন্য আমরা বরাদ্দ পেয়েছি তবে শিক্ষার্থীরা চাচ্ছে তা ক্লাসরুম করার জন্য। কারন, মোট ৩ টি ক্লাসরুমের মধ্যে দুটি ক্লাসের জন্য এবং একটি মুটের জন্য রাখলে তা হয়না। আমাদের ডিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এবং তিনি এ ব্যাপারে পজিটিভ। তাছাড়া, আমরা আমাদের সব ল্যাব ইন্সট্রুমেন্ট দু এক মাসের মধ্যে পেয়ে যাবো যা নিয়ে একটি কমিটি হয়েছে। 

মানববন্ধন শেষে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ৪ টি দাবিসংবলিত স্মারকলিপি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ ইসমাইলের কাছে পেশ করা হয়। স্মারকলিপি গ্রহণ করে নোবিপ্রবি উপাচার্য বলেন, ২৭৬ জন শিক্ষকের চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে ইউজি সি’তে। ৩৪২ কোটি টাকার একাডেমিক ভবনের  প্রজেক্ট পাশ হয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায়। এ প্রজেক্ট বাস্তবায়ন হলে শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুম সমস্যার সমাধান হবে। তাছাড়া, আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য মুট কোর্টের জন্য বাজেট দেয়া হয়েছে। এটার কাজ শীগ্রই শুরু হবে এবং পরীক্ষার খাতায় কোডিং পদ্ধতি চালুকরন দুটি ডিপার্টমেন্টে হয়েছে। এটা এখনো পর্যবেক্ষন চলছে। যদি সে ডিপার্টমেন্ট গুলোর ফলাফল প্রনয়নে সমস্যা না দেখি তাহলে আমরা সব ডিপার্টমেন্টেই কোডিং পদ্ধতি চালু করবো।