বাংলাদেশ

পদ্মাসেতুর উদ্বোধন ঘিরে চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি

  প্রতিনিধি ২৩ জুন ২০২২ , ৫:০৩:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ

পদ্মাসেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঘিরে চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি। মাওয়া প্রান্তে হবে সুধী সমাবেশ; আর মাদারীপুরের শিবচরে হবে স্মরণকালের বৃহত্তম জনসভা। এসব আয়োজনের প্রস্তুতি ঘিরে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা।

শনিবার (২৫ জুন) সকাল ১০ টায় সেখানে সুধী সমাবেশে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর ফলক উন্মোচনের পর টোলপ্লাজায় টোল দিয়ে পদ্মাসেতু পাড়ি দিয়ে জাজিরা প্রান্তে যাবেন তিনি। মাওয়া প্রান্তের সুধী সমাবেশ ঘিরে সাজ সাজ রব বিরাজ করছে। রঙ-বেরঙ এর ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে গোটা পদ্মাসেতু এলাকা।

আর মাদারীপুরের শিবচরে স্মরণকালের বৃহত্তম জনসভা আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ। চলছে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা। জোরেশোরে চলছে মঞ্চ বানানো ও আনুষাঙ্গিক কাজ।

সুধী সমাবেশে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা যোগ দেবেন। এদিকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঘিরে পদ্মাসেতু এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মহড়া চলছে সেখানে। এছাড়া জাতীয় পতাকা নিয়ে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার মহড়ার পাশাপাশি বিমান মহড়া দিয়েছে বিমানবাহিনী।

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মাদারীপুর-৩ আসনের সাবেক সাংসদ আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘২৫ জুন মাদারীপুরের আবালবৃদ্ধবনিতা ঘরে বসে থাকতে পারবে না। তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে মাহেন্দ্রক্ষণে সবাই উপস্থিত হবেন। যারা পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেছে, তারা না-ও আসতে পারে। তবে আমার বিশ্বাস, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ লাখের ওপরে মানুষ প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনতে আসবে। এদিন পুরো দেশই উৎসবে মেতে উঠবে।’

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠান ঘিরে নাশকতা পরিকল্পনার তথ্য নেই দাবি করে ব্যাপক প্রস্তুতির কথা জানালেন র‍্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি সভাস্থল পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের জানান, সাইবার মনিটরিংসহ অন্য তথ্য বিশ্লেষণ করে স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের হামলা ও নাশকতার সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তবু গোয়েন্দা ও সাইবার মনিটরিং বৃদ্ধির মাধ্যমে জঙ্গিদের যেকোনো পরিকল্পনা নস্যাৎ করা হবে। সেতুর দুই প্রান্তে নিরাপত্তা নিশ্চয়তার দায়িত্বে ব্যাটালিয়ন নিজ নিজ কন্ট্রোলরুমের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করবে র‍্যাব। র‍্যাব সদর দপ্তরের দুটি কন্ট্রোলরুম খোলা আছে। এরা সব সময় দায়িত্ব পালন করবে।’

আরও খবর

Sponsered content

Powered by