পাথরঘাটায় অসহায় পরিবার পেল কর্মস্থান

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি:

বরগুনার পাথরঘাটায় দীর্ঘদিন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে সাতদিনের ছেলেকে রেখে মৃত্যুবরণ করেছে বাবা মোহাম্মদ জান্নাতুল ফেরদাউস। মৃত্যুর পর থেকেই মেয়ে সুমাইয়া ও শিশু মোহাম্মদ মেহেদীকে নিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে কোন মতে জীবন-যাপন করছে জান্নাতুলের স্ত্রী মাকসুদা বেগম (২৫)।

এই পরিবারটিকে নিয়ে স্থানীয় অনলাইন পোর্টাল পাথরঘাটা নিউজে একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। সেই ভিডিও দেখে অসহায় পরিবারের পাশে দাড়িয়েছে বরগুনা-২ মহিলা সংরক্ষিত আসন-৩১৫ এর সাংসদ মধুমতি টাইলস এন্ড সিরামিক্স এর চেয়ারম্যান সুলতানা নাদিরা এমপির ছোট মেয়ে হাসসানা নাদিরা সবুর।
এর আগে পাথরঘাটা নিউজের ভিডিও দেখে ফয়সাল খসরু নামে এক প্রবাসী এক মাসের বাজার সদাই করে দেন জান্নাতুলের পরিবারকে।

শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের আমড়াতলা নামক স্থানে মাকসুদা ষ্টোর নামে দোকান ঘরটি মৃত জান্নাতুলের পরিবারকে উপহার দেন। মৃত জান্নাতুল ফেরদাউস উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের আমড়াতলা গ্রামের শাহজাহান হোসেনের ছেলে। তিনি জীবিত থাকাকালীন বিদ্যুতের মেকানিক কাজ করতো।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পাথরঘাটা উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন, কালমেঘা ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি মতিউর রহমান মেম্বার , ভোরের দর্পনে এর পাথরঘাটা প্রতিনিধি সাকিল আহমেদ , পাথরঘাটা নিউজের সম্পাদক মোহাম্মদ কাজী রাকিব প্রমুখ।

মধুমতি টাইলস লিমিটেড এর ডাইরেক্টর এডমিন, এমপি ছোট মেয়ে হাসসানা নাদিরা সবুর ভোরের দর্পনকে জানান, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যায়ে আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এখন পর্যন্ত দশটি দোকান ঘড় উপহার দিয়েছি। যাতে করে প্রতিটি অসহায় পরিবার কর্মস্থান খুঁজে পায়। তিনি আরো জানান, আমি আমার উপার্জিত অর্থ থেকে প্রতিমাসে একজন করে এরকম অসহায় পরিবারকে কর্মস্থানের ব্যবস্থা করব।

মৃত জান্নাতুলের স্ত্রী মাকসুদা জানান, আমি আগে আমার সন্তানদের নিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে কোন রকম দিন কাটাতাম । ঠিকমতো খেতে পারতাম না। কিন্তু এমপি সাহেবের মেয়ে আমাকে একটি দোকান ঘর তৈরি করে বিভিন্ন ধরনের মালামাল কিনে দিয়েছেন। যারা দুঃসময়ে আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন তাদের জন্য আমি প্রাণভরে দোয়া করি।

পাথরঘাটা উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন জানান, মানবিক কাজগুলো গোলাম সবুর টুলু বিভিন্ন সময় প্রথম সারিতে অবস্থান করে অসহায় পরিবারের সেবা দিয়ে গেছেন। এর ধারাবাহিকতা তার কন্যারাও টিকিয়ে রেখেছেন। এ কাজকে তিনি সাধুবাদ জানান।