শিক্ষা

এক দফা দাবিতে গণঅনশনে ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা

  প্রতিনিধি ২০ আগস্ট ২০২৩ , ৮:২২:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ

সিজিপিএ’র শর্ত শিথিলপূর্বক মানোন্নয়ন পরীক্ষা নিয়ে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশনের দাবিতে গণঅনশন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা।

রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ গণঅনশন শুরু হয়। শিক্ষার্থীরা জানান, দাবি আদায় না হলে পরবর্তীতে আমরণ অনশনের মতো কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন তারা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ৭ কলেজ ঢাবি অধিভুক্ত হওয়ার পর থেকে শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। এর মধ্যে ঢাবির রেজিষ্ট্রার ভবনে সেবা দেওয়া হচ্ছে সনাতনি পদ্ধতিতে। আর ঢাবি অধিভুক্ত ৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের এখনও বাঁকা চোখে দেখা হয়।

তাদের দাবি, নির্ধারিত জিপিএ বা সিজিপিএ শর্ত শিথিল করে ৩ বিষয় পর্যন্ত মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশন দিতে হবে।

মীর সোহান নামে এক শিক্ষার্থী জানান, বারবার আমাদের বলা হচ্ছে মিটিং মিটিং। কিন্তু কবে মিটিং শেষ হবে জানি না। আজ ফর্ম ফিলাপের শেষ দিন, এখনও কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারিনি ঢাবি।

তিনি আরও জানান, ৭ কলেজের সমন্বয়ক ও ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য ম্যামের সঙ্গে আমরা সেদিনও এক ঘণ্টার বেশি সময় বৈঠক করেছি। তিনি বলেছেন, দেখবেন।

জাহিদ হোসেন নামে এক শিক্ষার্থী জানান, আমাদের ৩ মাসের মধ্যে ফল দেওয়ার কথা ছিল। কিন্ত ৯ মাস পর ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা যতটুকু জানি, দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সের ক্ষেত্রে মানোন্নয়নের সিস্টেমটা আছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় অনুযায়ী তা ২ বিষয়, এমনকি ৩ বিষয় পর্যন্ত হয়ে থাকে।

তিনি বলেন, ঢাবি যে সিজিপিএ শর্ত দিয়েছে তাতে দেখা গেছে, একজন শিক্ষার্থীর একটি বা দুটি বিষয়ে খারাপ হলেও সিজিপিএ শর্ত পূর্ণ করতে পারছে না। ২-৩ বিষয় পর্যন্ত মানোন্নয়ন দেওয়ার পদ্ধতি থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছে। তাহলে কি আপনারা মানন্নোয়ন পদ্ধতি একদমই তুলে দিতে চাচ্ছেন? আর সেটা শুধু ৭ কলেজের বেলায়?

অনশনে যোগ দেওয়া ঢাকা কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সাগর বলেন, ঢাবি পরীক্ষার ফল দিতে দেরি করছে। আমরা ফাইনাল পরীক্ষা দিয়ে পরবর্তী বর্ষে ইনকোর্স পরীক্ষায়ও অংশ নেই। কিন্তু ঢাবি দেরি করে ফলাফল প্রকাশ করে। এক্ষেত্রে তিন বিষয়ে অকার্যকর হলে ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নেওয়া যাবে না। এতে আমরা পড়াশোনায় চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, আমি বরাবরই শিক্ষার্থীবান্ধব। তাদের কথা রেখে এতদিন চলেছি। এখন ঢাবির নিয়মে চলতে হবে আমাদের।

তিনি আরও বলেন, আমরা শিক্ষার মানোন্নয়ন চাই। ৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো শুনেছি। আজ বিকেলে একটা মিটিং আছে আমাদের, তারপর বিস্তারিত জানাতে পারবো।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by