বাংলাদেশ

বাংলাদেশকে ২৬৭৫ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

  প্রতিনিধি ১৩ নভেম্বর ২০২২ , ৪:৩৮:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ

ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে এক বিলিয়ন ডলার ঋণ চেয়েছিল বাংলাদেশ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম দফায় ২৫ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক, বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ ২ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা। বাকি ৭৫ কোটি ডলার বিভিন্ন কিস্তিতে দেবে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি।

আজ রোববার রাজধানীর শেরে-বাংলা নগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শরিফা খানের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশ সফররত বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার। বৈঠক শেষে ইআরডির কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানিয়েছেন।

ইআরডি জানায়, বিশ্বব্যাংকের এই ঋণ পাঁচ বছরের রেয়াতকালসহ ৩০ বছরে ২ শতাংশ সুদসহ ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে হবে। গ্রিড ডিপিসি সিরিজের আওতায় এ ঋণ দেবে সংস্থাটি। দুই বছরের মধ্যে বাকি ৭৫০ মিলিয়ন ঋণ দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন মার্টিন রাইজার।

ইআরডির কর্মকর্তারা জানান, গুরুত্বপূর্ণ ৯টি পণ্য আমদানি করতে ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে সম্ভাব্য ৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত ব্যয় হবে। এসব প্রভাব মোকাবিলায় এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ চাওয়া হয়। এ জন্য আলাদা উইন্ড খুলে গ্রিড ডিপিসির আওতায় ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ২৫০ মিলিয়ন ডলার দেবে সংস্থাটি।

এ ছাড়া বাজেট বাস্তবায়নে সহযোগিতার জন্য বিশ্বব্যাংকের কাছে ৫০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা চেয়েছিল বাংলাদেশ। এর আওতায় ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়েছে সংস্থাটি। বাকি ২৫০ মিলিয়ন একই সময়ে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাসে মিলবে।

এর আগে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে বাংলাদেশ ঋণ পেতে যাচ্ছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। গত বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে আইএমএফের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমরা যেভাবে চেয়েছিলাম আইএমএফ সেভাবেই আমাদের ঋণ দিচ্ছে। ঋণের পরিমাণ সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার। সাত কিস্তিতে ২০২৬ পর্যন্ত এ ঋণ আসবে। প্রথম কিস্তি আসবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে। বাকি ঋণ প্রতি ছয় মাস অন্তর অন্তর ৬৬০ মিলিয়ন এসডিআর (স্পেশাল ড্রয়িং রাইটস) হিসেবে ছয়টি সমান কিস্তিতে ২০২৬ সালের মধ্যে পাওয়া যাবে।’

সে সময় অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আইএমএফ মিশন জানিয়েছে তাদের কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী তিন মাসের মধ্যে ঋণপ্রস্তাবের সব আনুষ্ঠানিকতা ও চূড়ান্ত বোর্ড অনুমোদন শেষ হবে। ঋণটি চার বছর মেয়াদি। মোট ঋণের পরিমাণ হবে ৩ দশমিক ৪৬৮ বিলিয়ন এসডিআর। যা বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী প্রায় সাড়ে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।’

চলতি বছরের ২৪ জুলাই ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ চেয়ে আইএমএফকে চিঠি দেয় বাংলাদেশ। ঋণ দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করতে গত ২৬ অক্টোবর আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকায় আসে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by