দেশজুড়ে

বিজয়নগরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগে ৫০ বছরের বৃদ্ধ গ্রেফতার

  প্রতিনিধি ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ৮:১০:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ

বিজয়নগরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগে ৫০ বছরের বৃদ্ধ গ্রেফতার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর উপজেলায় ৬বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ৫০ বছরের বৃদ্ধকে গ্রেফতার করেছে বিজয়নগর পুলিশ।

২৩শে ফেব্রুয়ারি বিজয়নগর উপজেলার ২নং চান্দুরা ইউনিয়নের আব্দুল্লাহপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ধর্ষক আব্দুল্লাহপুর গ্রামের মৃত ইউনুস মিয়ার ছেলে তাজুল ইসলাম (৫০)

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ২১শে ফেব্রুয়ারি ভিকটিম ৬বছরের শিশুকন্যা নানার বাড়িতে বেড়াতে এসে চিপস কিনতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন।

ধর্ষক সামাজিকভাবে শক্তিশালী হওয়ায় ঘটনার দিন কন্যা শিশুর ধর্ষণের আলামত পেয়েও ভয়ে মুখ বন্ধ করে তার বাবার বাড়ি, সরাইল উপজেলার চুনটা গ্রামে চলে যান। ভিকটিমের শারীরিক অবস্থা অবনতি ঘটলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।

এ বিষয় নিয়ে থানায় অভিযোগ করলে ২৩শে ফেব্রুয়ারি বিজয়নগর থানা পুলিশ অভিযুক্ত তাজুল ইসলামকে গ্রেফতার করেন। গ্রেপ্তারের জেরে অভিযুক্ত তাজুল ইসলামের অনুসারীরা ভিকটিমের নানার ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার প্রায় ৩০লক্ষ টাকার মালামাল নিয়ে যায় এবং ৫জন আহত করেন। এর মধ্যে জাহিদ হাসান (২৮) নামে একজন গুরুতর আহত হন।

এ বিষয়ে আহতের পিতা আব্দুল করিম জানান, আমরা নিরীহ পরিবার সবাই চাকুরিজীবী, বাড়িতে লোকজন কম, ধর্ষকের পরিবার উশৃঙ্খল হওয়াতে তাদের কোন বিচার হয়নি। অভিযুক্ত তাজুল ইসলাম তার একটি মুদি দোকান রয়েছে। তার দোকানে প্রায় সময়ই বাচ্চারা গেলে যৌন হয়রানির শিকার হন।এদিকে ঘটনাকে ভিন্নখাতে মোড় নেওয়ার জন্য, মুদির দোকান পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগিয়ে আমাদেরকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। অন্যদিকে চিহ্নিত মাদক সেবী ও চোর তৌহিদ মিয়ার ছেলে আশরাফুলকে নিজেরাই আঘাত করে পাল্টা মামলা দিয়ে হয়রানি করার চেষ্টা করছে।

সালিশ কারক লাল মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযুক্ত তাজুল ইসলাম খারাপ মানুষ, তার দোকানে প্রায় সময় বাচ্চা গেলে এরকম হয়রানি করে। পাশে থাকা স্কুল মাদ্রাসার বাচ্চাদের সাথেও এমন আচরণ করে আসছে। তারা নিজেরাই নিজেদের দোকানে আগুন দিয়েছে এবং আসামি গ্রেফতার হওয়ার পর ভিকটিমের নানার বাড়িতে হামলা করেন। সামাজিকভাবে আমরা তাদের সাথে ব্যর্থ। আমি চাই এসব অন্যায়ের সুষ্ঠু বিচার হওক।

এ বিষয়ে বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ রওশন আলী জানান, শিশু ধর্ষণের অভিযোগ পেয়েছি এবং আসামি গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মেডিকেল রিপোর্ট অনুযায়ী তার বিচার হবে। লুটপাটের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।   

আরও খবর

Sponsered content