প্রতিনিধি ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ৬:৫৭:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর উপজেলায় বিভিন্ন অর্জনে শীর্ষে জামিয়া খাতুনের জান্নাত মহিলা মাদ্রাসা।
মাদ্রাসাটি মাও: ইয়াছিন হাসান ব্যক্তির উদ্যোগে ও আলহাজ্ব শেখ রফিকুলইসলাম ঠিকাদার মোতাওয়াল্লী কাতার প্রবাসী শেখ ওমর ফারুক রোমান, চেয়ারম্যান হ্যাপি লাইফ ট্রেডিং কন্টাক্টটিং এন্ড কলিং সার্ভিস (কাতার) এর পরামর্শে ২০১৬ সালে ৩২০জন ছাত্রী নিয়ে করে যাত্রা শুরু করেন। বর্তমানে ১১জন শিক্ষক ও ২২জন শিক্ষিকা মোট ১৪টি ক্লাসে, প্রথম শ্রেণী (নূরানী) হইতে মাস্টার্সে (দাওরায়ে হাদিস) মোট ৭০০ জনের অধিক শিক্ষার্থী নিয়ে কওমি শিক্ষা প্রতিষ্ঠিত।
উক্ত প্রতিষ্ঠানে রয়েছে উন্নত মানের সিকিউরিটি ও মনিটরিং সিস্টেম।
প্রতিষ্ঠানটি বিজয়নগর উপজেলার সাতগাঁও শাহী ঈদগাহের পূর্বপাশে মাও: ইয়াছিন হাসানের নিজস্ব জায়গাতে প্রতিষ্ঠিত। আরবি শিক্ষার পাশাপাশি রয়েছে বাংলা, গণিত, ইংরেজি ও কারিগরি শিক্ষা, রয়েছে সেলাই, হস্তশিল্প, কম্পিউটার হাঁস-মুরগি পালন ও সবজির অধিকতর ফলনের প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণ শেষে অসহায় গরীব ছাত্রীদের সেলাই প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থানের ও মাদ্রাসার পক্ষ থেকে বিনামূল্যে সেলাই মেশিন প্রদান করা হয়।
প্রতিষ্ঠানটি বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ (কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত)
আল হাইআতুল উলয়া লিল জামি আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ এর অধিনে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) ১৩জন ছাত্রী পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে।
আবাসিক ও অনাবাসিক প্রতিষ্ঠানটিতে কারিগরি শিক্ষায় ৬০জন ছাত্রীকে প্রতিবছর বিনামূল্যে প্রশিক্ষণসহ ও গরিব অসহায় ১২০ ছাত্রীকে ফ্রি শিক্ষা দেওয়া হয়। মাদ্রাসাটিতে নিম্নে ৫০ থেকে ৫০০ টাকা বেতন নেওয়া হয়।
আঞ্চলিক মহিলা মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক বিজয়নগরে দুটি সেন্টার এর মধ্যে উক্ত প্রতিষ্ঠানে ইবতেদাইয়াহ (৫ম) মোতাওয়াসসিতাহ (৮ম) সানাবিয়াউলইয়া (১০ম) ফজিলত (স্নাতক) এর শিক্ষা বোর্ড কতৃক পরীক্ষার সেন্টার নির্বাচিত হয়।
বর্তমানে জামাআতে মিযান (ষষ্ঠ) শ্রেণির আঞ্চলিক বোর্ড ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহিলা মাদারাসা শিক্ষা বোর্ডের অধিনে পরীক্ষার চলমান।
কওমি শিক্ষার আকৃষ্ট হয়ে দুই সন্তানের জননী ও বিজয়নগর উপজেলা সহদেবপুর এর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা নাইমা সুলতান মুনমুন (২৭) সাটির পাড়ার আতিকুল ইসলাম এর স্ত্রী মোতাওয়াসসিতাহ (৮ম) শ্রেণীতে অধ্যায়নরত রয়েছে।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠাতা মাও: ইয়াছিন হাসান জানান, প্রতিষ্ঠানটি এলাকার স্বার্থে ও শিক্ষায় প্রসারিত করার জন্য আমার এই উদ্যোগ, এই প্রতিষ্ঠানটির গুণগত মান সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার প্রতি অনুরোধ জানান।