প্রতিনিধি ৩০ মে ২০২৪ , ৬:২৬:১১ প্রিন্ট সংস্করণ
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নার্সের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠছে। এ বিষয়ে হাসপাতালের অভিযোগ ফরমে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের পরিবার।
অভিযোগ ও পরিবার সূত্র জানা যায়, উপজেলার বোয়ালমারী ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের মো. মিনহাজুর বিশ্বাস ও বৃষ্টি বেগম দম্পতির সদ্য ভূমিষ্ঠ ছেলে নিজ গ্রামে বুধবার (২৯মে) বিকেলে নরমালে প্রসব করে। বাচ্চা ভূমিষ্ঠের পরে কান্না না করায় জরুরি ভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
জরুরি বিভাগের ডা. শরিফুল ইসলামের চিকিৎসা শেষে বাচ্চা কান্নাকাটি করে। চিকিৎসকের পরামর্শে হসপিটালে ভর্তি হয়। পরে রাত এগারোটায় বাচ্চা অনবরত কান্নাকাটি শুরু করে। কর্তব্যরত নার্স কোহিনুর পারভীনকে শিশুটিী কান্নার বিষয় জানালে তিনি কোন কর্ণপাত করেননি। বরঞ্চ তিনি হুমকি ধামকি দিয়ে নার্সের রুম থেকে রোগীর স্বজনদের বের করে দিয়েছে।
কষ্টে রাত কাটলে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় নার্স কোহিনুর পারভীন একটি ইনজেকশন পুশ করে। এর পর থেকে বাচ্চা আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পরে। তখন শিশুটির অভিভাবকরা নার্সের কাছে শিশুর অবনতির কথা বললে তিনি তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে রুম থেকে বের করে দেন। রোগীরা পরে ডা. শরিফুল ইসলামকে দেখাতে গেলে তাঁর ডিউটির সময় না হওয়ায় তিনি অফিসে ছিলেন না।
পরে শিশুটি চিকিৎসার অভাবে ও নার্সদের অবহেলায় তরতাজা প্রাণটি ঝরে গেছে দাবি করেন ভুক্তভোগী পরিবার। শিশুটির নানি মর্জিনা বেগম বলেন, আমার নাতনী দুর্বল হয়ে জন্মগ্রহণ করে। পরে তাকে জরুরি হসপিটালে নেয়া হলে সুস্থ হয়ে যায়। তবে সকাল নার্স এসে ইনজেকশন পুশ করার পরে চিৎকার করে কান্না করে।
পরে নার্সকে ডাকতে গেলে সে রেগে যায়। আমাদের কোন কথা সে আর শোনে না। সিনিয়র স্টাফ নার্স কোহিনুর পারভীন মুঠো ফোনে জানান, শিশুটি নরমাল প্রসবের ছিল। শিশুটির অভিভাবক অসুস্থ অবস্থায় শিশুটাকে হাসপাতালে আনেন। পরে চিকিৎসা দেওয়ার পরে শিশুটি কান্না করে। পরে তাকে ওয়ার্ডে রেফার্ড করা হয়।
আমি রোগীর স্বজনদের সাথে কোন ধরনের খারাপ ব্যবহার করিনি। সকালে শিশুটিকে ইনজেকশন পুশ করেছিলাম। পরে কি হয়েছে বলতে পারি না।উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এম এম নাহিদ আল রাকিবের মুঠো ফোন একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভড না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।