দেশজুড়ে

ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে তিন করাতকলের জরিমানা ঊনিশ হাজার

  প্রতিনিধি ৩ অক্টোবর ২০২৪ , ৭:০২:১৫ প্রিন্ট সংস্করণ

ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে তিন করাতকলের  জরিমানা ঊনিশ হাজার

রাঙ্গামাটির পার্বত্য জেলান লংগদুতে অবৈধ ভাবে করাত কল স্থাপনের মাধ্যমে বনজ কাঠ চিরানোর দায়ে তিন করাত কলের মালিককে অর্থদন্ড ও একটি করাত কলকে সিলগালা করেছে ভ্রাম্যমাস আদালত।

৩ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা আড়াই  ঘটিকায়  লংগদু উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ কফিল উদ্দিন মাহামুদ  উপজেলার বাইট্টাটাড়া, ইসলামাবাদ ও তিনব্রীজ বটতলা এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করেন। উপজেলার   বাইট্টাপাড়া আলতাফ মার্কেট এলাকার মোঃ মামুন মিয়া, ইসলামাবাদ এলাকার মোঃ কালাম মিয়া এবং  আঠারকছড়া ইউনিয়নের তিনব্রীজ বটতলা মোঃ রফিক এর  করাত কলে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় করাত কল বিধিমালা ২০১২ এর ৩ ধারার অপরাধে ১২ ধারায় একজন কে ১০,০০০/-(দশ হাজার) টাকা একজনকে ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা এবং একজন কে ৪,০০০/-(চার হাজার) টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয়। অন্যদিকে আটারকছড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গাবাজার এলাকায় শহর আলীর করাত কলে অভিযান কালে কাউকে না পেয়ে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

এ সময় উক্ত করাত কলের মালিকদেরকে লাইসেন্স করার জন্য আগামীএক মাসের সময় দেওয়া হয়। এক মাসের মধ্যে যদি লাইসেন্স না করেন, তবে পূনরায়  অভিযান পরিচালনা করে করাত কল গুলোকে বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে সতর্ক করা হয়। এছাড়াও বাকি যে সকল করাতকল সমূহ রয়েছে পরবর্তীতে সেগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

এ বিষয়ে বনবিভাগ উল্টাছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা এসএম মাহাবুব উল আলম বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ চেষ্টা করেছি, যাতে করাত কল গুলো লাইসেন্সের আবেদন করে। কিন্তু বেশিরভাগ করাতকলের মালিক কোনো প্রকার অনুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে করাতকল পরিচালনা করে আসছেন।’

ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও লংগদু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কফিল উদ্দিন মাহামুদ  বলেন, ‘লংগদুতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা করাত কলগুলোর বিরুদ্ধে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। অবৈধ করাত কলের বিরুদ্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

আরও খবর

Sponsered content