রাজধানী

মানব দেহে বঙ্গভ্যাক্স পরীক্ষার অনুমতি চেয়ে উকিল নোটিশ

  প্রতিনিধি ২৭ জুলাই ২০২১ , ৫:০৫:০১ প্রিন্ট সংস্করণ

বানর বা শিম্পাঞ্জির দেহে পরীক্ষার শর্ত প্রত্যাহার চায় গ্লোব বায়োটেক। ফাইল ছবি

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ

উকিল নোটিশে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাতে বলেছে। স্বাস্থ্য সচিব ছাড়াও স্বাস্থ্যের ডিজি, বিএমআরসির পরিচালক, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে ডাকযোগে এবং ইমেইলে আজ সোমবার নোটিশটি পাঠানো হয়।

নোটিশে বলা হয়, গত বছরের গ্লোব বায়োটেকের উদ্ভাবিত বঙ্গভ্যাক্স গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর অনুমোদন দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এরপর মানবদেহে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্ব-১ এবং ট্রায়াল পর্ব-২–এর জন্য বিএমআরসির কাছে নৈতিক অনুমোদনের জন্য গত ১৭ জানুয়ারি আবেদন করা হয়। কিন্তু এখনো আবেদনটি নিষ্পত্তি করা হয়নি। এই নোটিশ পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গভ্যাক্সের এথিক্যাল ক্লিয়ারেন্স দিতে স্বাস্থ্য সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানানো হলো। অন্যথায় বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে রিট করা হবে।

গত জানুয়ারিতে নিজেদের উদ্ভাবিত কোভিড টিকা ‘বঙ্গভ্যাক্স’ মানব দেহে পরীক্ষা চালানোর জন্য বিএমআরসির কাছে অনুমতি চায় গ্লোব বায়োটেক। এর জন্য কয়েকটি শর্ত বেঁধে দেয় বিএমআরসি। এর মধ্যে– ফেজ ওয়ান ট্রায়ালের আগে বানর বা শিম্পাঞ্জির ওপর পরীক্ষা করার শর্ত দেওয়া হয়।

বিএমআরসি তখন জানায়, নিয়ম অনুযায়ী, শিম্পাঞ্জি ও বানরের ওপরে টিকা প্রয়োগ করার পর সেটার কার্যকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সমস্ত কাগজপত্র বিএমআরসিতে জমা দিতে হবে। এরপরই প্রতিষ্ঠান মানব দেহের ওপর টিকার ট্রায়াল চালানোর অনুমতি পেতে পারবে।

আবেদনের সময় গ্লোব বায়োটেকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, অনুমোদন পাওয়ার পরের সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে ঢাকার কোনো একটি বেসরকারি হাসপাতালে শ’খানেক স্বেচ্ছাসেবকের ওপর টিকাটি প্রয়োগ করা হবে।

বিএমআরসি নীতিগত অনুমোদন পেলে কোনো প্রতিষ্ঠান ট্রায়ালের জন্য ওষুধ প্রশাসনের কাছে আবেদন করতে পারে। সেখান থেকে অনুমোদন পেলে তখন মানব ট্রায়াল করা যায়।

তবে টিকা হিসেবে পুরোপুরি অনুমোদন পাওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক মান হিসেবে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফার তিনটি ট্রায়াল সম্পন্ন করতে হয়।

এর মধ্যে জুলাইয়ের শুরুর দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী বাজার এলাকায় বানর ধরতে যান গ্লোব বায়োটেকের লোকজন। কিন্তু বানর ধরে খাঁচায় ভরতে দেখে এলাকার মানুষজন তাঁদের ঘেরাও করেন। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে তাঁর নিরাপদে ফিরে আসেন। এরপর টিকার গবেষণার জন্য বন্যপ্রাণীর ব্যবহার কতটা গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

আরও খবর

Sponsered content