দেশজুড়ে

মিরসরাইয়ে মুক্তিযোদ্ধার উপর হামলার অভিযোগ

  প্রতিনিধি ২২ জুন ২০২০ , ৫:৪০:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ

মিরসরাইয়ে মুক্তিযোদ্ধার উপর হামলার অভিযোগ

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিরসরাইয়ের এক মুক্তিযোদ্ধার উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আহত মুক্তিযোদ্ধার নাম মো: নুরুল করিম। তিনি উপজেলার ১৬ নং সাহেরখালি ইউনিয়নের মোল্লা পাড়ার কামাল মাঝি বাড়ির বাসিন্দা। আহত মুক্তিযোদ্ধা বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছেন। হামলার ঘটনায় মিরসরাই থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

গত শনিবার (২০ জুন) সকাল এগারটার দিকে এই হামলার ঘটানা ঘটে। আহত মুক্তিযোদ্ধার পুত্র মঞ্জু জানান, শনিবার সকালে সবজি খেতে কাজ করার সময় একটি ছাগল খেতের ফসল নষ্ট করতে থাকলে সেটিকে দৌড়ানোর চেষ্টা করেন। এটি দেখে দূর থেকে তেড়ে আসে ছাগলের মালিক একই গ্রামের গিয়াসউদ্দিন কাওচারের ছেলে মো: সেহেল (২৭)। এসেই প্রথমে কিল-ঘুষি মারতে থাকে এক পর্যায়ে হাতের ধারালো দা দিয়ে মাথায় সজোরে আঘাত করে। ধরালো দায়ের আঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়ে মুক্তিযোদ্ধা করিম ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারান।

খবর পেয়ে আহত মুক্তিযোদ্ধাকে উদ্ধার করে প্রথমে মিরসরাই থানায় নেওয়া হলে ডিউটি অফিসার এএসআই পপি দ্রুত হাসপাতালের চিকিৎসার জন্য পাঠানোর নির্দেশ দেন। মুক্তিযোদ্ধা করিমের ছেলে মঞ্জু আরো বলেন, বাবার মাথায় ছয়টি সেলাই পড়েছে। আঘাত গভীর হওয়া পুনরায় অপারেশন করার কথা জানিয়েছে ডাক্তার। আমরা এখন চমেক হাসপাতালে আছি বাবার অবস্থা একটু ভালো হলেই থানায় মামলা করবো।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কবির আহম্মদ বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধার উপর হামলা মেনে নেওয়া হবেনা। আমি ইউনিয়ন কমান্ডার আব্দুল মোতালেবকে অনুরোধ করেছি ভালোভাবে খোজ খবর নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে।

তবে অভিযুক্ত সোহেলের কাছে ঘটনার বিবরণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনার দিন এগারোটায় আমি মোটরসাইকেল করে বাড়ি থেকে দোকানে যাচ্ছিলাম কিছুদূর যাওয়ার পর দেখি মুক্তিযোদ্ধা করিম নানা আমার প্রিয় খাসি ছাগলটিকে মোটা লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করছিলেন। আমি প্রতিবাদ করায় মোটরসাইকেলে থাকা অবস্থায় আমাকেও লাঠি দিয়ে অঘাত করে গুরুতর আঘাত করে এতে আমার ডান চোখ কেটে যায়। এই সময় হাতাহাতির একপর্যায়ে উনার হাতের দা উনার মাথায় গিয়ে লাগে আর উনার মাথা কেটেগিয়ে ঘটনার স্থলেই তিনি জ্ঞান হারান।

আমি সাহেরখালি ডাক্তারের দোকানে গেলে তারা রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে না পারায় মস্তাননগর হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করি। কাটা স্থানে তিনটি সেলাই পড়ছে আঘাতে চোখের উপরি ভাগ থেতলে গেছে। থানায় আমার মা অভিযোগ করতে গিয়েও ফিরে এসেছে। এলাকার লোকজন স্থানিয় ভাবে বিষয়টি মিটমাট করার আশ্বাস দিয়েছেন।

মিরসরাই থানা ডিউটি অফিসার এএসআই পপি জানান, আহত ও রক্তাক্ত অবস্থায় সিএনজিতে একটি লোককে আনা হলে আমরা তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে বলি এবং অভিযোগের ব্যপারে পরে যোগাযোগ করতে বলি। থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান বলেন ঘটনার বিষয়ে আমি এখনো কিছু জানিনা, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by