দেশজুড়ে

মুন্সিগঞ্জে এক মৃতের করোনা পজেটিভ, করোনা উপসর্গে মৃত আরও এক

  প্রতিনিধি ১৬ এপ্রিল ২০২০ , ৩:৫৯:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি : মুন্সিগঞ্জে নতুন করে আর করোনা শনাক্ত হয়নি, আক্রান্ত ১৯ অপরদিকে আইইডিসারের অনলাইন তথ্যানুযায়ী আক্রান্তের সংখ্যা ২১জন। তবে গতকাল মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার একজন করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে সদর উপজেলা প্রশাসন। অপরদিকে টঙ্গীবাড়িতে দাফন করা এক বৃদ্ধার করোনা শনাক্তের রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে বলে জানিয়েছে সিভিল সার্জন।
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার মহাকালীর ঢালী বাড়িতে করোনার উপসর্গ নিয়ে বৃদ্ধা (৬৫) মঙ্গলবার সন্ধ্যার আগে মারা গেছেন। তিনি নারায়ণগঞ্জে ছেলের সাথে বসবাস করতেন। মহাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খবর পেয়ে বিষয়টি ইউএনও এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে অবহিত করেছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সুমন বনিক বলেন, প্রশিক্ষিত ট্যাকনোলজিস্ট মৃতের নমুনা সংগ্রহ করেছে। যারা তার সংস্পর্শে ছিলেন, তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। নমুনা পরীক্ষার জন্য বুধবার আইইডিসিআর এ পাঠানো হবে।
এছাড়া মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলায় দাফন করা এক বৃদ্ধার করোনা শনাক্তের রিপোর্ট পজেটিভ আসে। এর আগে গত সোমবার সকালে উপজেলার আড়িয়ল ইউনিয়নের সিংহেরনন্দন গ্রামে শাহনাজ বেগম (৬৫) নামে ঐ বৃদ্ধাকে গোপনে দাফন করার সময় এলকাবাসী বাধা দেন। পরে দাফন করার আগে ঐ বৃদ্ধার নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরএ পাঠানো হয়।
টংগীবাড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাম্মৎ হাসিনা আক্তার জানান, ঐ বৃদ্ধার পরিবারের ৭ সদস্যকে আগেই তিনদিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। তারা সপরিবারে নারায়ণগঞ্জ বসবাস করেন।
মুন্সীগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাড়ালো ১৯। নারায়ণগঞ্জের মৃত ঐ বৃদ্ধার নমুনা যেহেতু মুন্সীগঞ্জ থেকে পাঠানো হয়েছিল, তাই মুন্সীগঞ্জের সাথে এটি গননা করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, জেলায় নতুন করে আর করোনা অক্রান্তের সংখ্যা বাড়েনি। এ পর্যন্ত ১৬৫ জনের সোয়াব সংগ্রহ করা হয়েছিল। যার মধ্যে ১৪৭ জনের রিপোর্ট এসেছে। বাকী ১৮ জনের নমুনা আজ বুধবার আইইডিসিআর মুন্সীগঞ্জ থেকে নিয়ে গেছে।
সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী মুন্সীগঞ্জ সদরে ২ জন, গজারিয়ায় ৬ জন, টঙ্গীবাড়িতে ৬ জন, সিরাজদিখানে ৩ জন, শ্রীনগরে ১ জন এবং লৌহজং উপজেলায় ১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্ত ১৭ জনই এখনও সুস্থ আছেন। টঙ্গীবাড়ির তিনজন এবং গজারিয়ার একজন বাদে বাকী ১৩ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে বা যাচ্ছে। বাকীরা বাড়িতেই আইসোলেশনে সুস্থ আছেন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by