দেশজুড়ে

মেরামত নেই মিরসরাই খাদ্য গুদামের

  প্রতিনিধি ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৫:২৭:৫১ প্রিন্ট সংস্করণ

আশরাফ উদ্দিন, (চট্টগ্রাম) মিরসরাই:

এক দশকেও মেরামতহ হয় নি মিরসরাইয়ের ১৫শ মেট্রিকটন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন খাদ্য গুদামের। কখন মেরামত করা হয়েছে সেটিও কেউ বলতে পারেনা । ৫শ মেট্রিক টন করে মোট ১৫শ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ৩টি শেড় রয়েছে মিরসরাই স্টেশন এলাকায়। ১৯৭২ সালে নির্মাণ করা হয় খাদ্য গুদামটি। এখান থেকেই মিরসরাইয়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরকারি সকল খাদ্য কর্মসূচির খাদ্য সংরক্ষণ ও বিতরণ হয়।

সাম্প্রতিক খাদ্য গুদামটি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় অত্যন্ত নাজুক আবস্থা। শ্রী হীন হয়েছে দেয়ালের রং, কোথাও কোথাও খুবলে উঠেছে দেয়ালের পলেস্তারা। ফাটল দেখা দিয়েছে বহু স্থানে। লোডিং আনলোডিং পয়েন্ট গুলিও ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে আছে বহু বছর ধরে। দেয়ালে পড়েছে পুরনো শ্যাওলা। দেখে মনে হয় ৮ থেকে ১০ বছরে মেরামতের হাত পড়ে নি খাদ্য গুদামের দেয়ালে। অবহেলা আর রক্ষণাবেক্ষের অভাবে যেন অসহায়ত্ব বোধ করছে উপজেলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই স্থাপনাটি।

এ ব্যাপারে কথা হয় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সামছুন্নাহার স্বর্ণার সাথে। তিনি বলেন, ২০২১ সালের এপ্রিলের দিকে সীতাকুন্ড উপজেলার পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে মিরসরাই উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পান। তবে দায়িত্বে থাকা কালিন অধ্যাবদি গত ১৮ মাসে কোন মেরামতের ব্যবস্থা করা হয় নি। খাদ্য গুদামের যে সকল সমস্যা রয়েছে তা মেরামতের জন্য যথাযথ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে লিখিত আকারে জানানো হয়েছে। মেরামতের জন্য ঢাকা থেকে একটি টিম গঠন করা হয়েছিল শুনেছি। টিমের লোকজন আসার কথা ছিল কিন্তু তারা আসে নি। মিরসরাইয়ের খাদ্য গুদামের ফ্লোর ও দেয়ালসহ বেশ কিছু মেরামতের প্রয়োজন রয়েছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়েরে ওয়েব সাইট খুঁজে দেখা যায়, ৭ অক্টোবর ২০১৮ সালে একনেক এর একটি সভায় সারা দেশের বিভিন্ন ধারণ ক্ষমতার ৫১১টি গুদাম মেরামতের প্রকল্প অনুমোদন পায়। যার বাস্তবায়ন কাল ছিল ২০১৮ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। এই ৫১১টি গুদামের মধ্যে মিরসরাইয়ে দুটি খাদ্য গুদামও ছিল। কিন্তু প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও গুদাম দুটি মেরামত করতে কেউ আসেনি। তাহলে কি ধরে নেয়া যায় মেরামত না করেই বিল আত্মসাৎ করা হয়েছে ঢাকায় বসে?

এ ব্যাপারে জানতে অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তা প্রকল্পটির পরিচালক মোঃ হুমায়ুন কবিরের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। এছাড়া চট্টগ্রাম আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জহিরুল ইসলাম খান ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ আব্দুল কাদের এর সাথে যোগাযোগ করা হলে কর্মব্যস্তাতা দেখিয়ে তারাও কথা বলেন নি।

স্থানীয় একাধিক লোকের সাথে কথা বলে জানা যায়, খাদ্য গুদামটি মিরসরাই উপজেলার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও তেমন কোন মেরামতের কাজ করতে দেখা যায় না। তবে ১৫ দিন কিংবা সপ্তাহে একবার ঝাড়– দেয়া হয়। এর বাইর আর কোন কাজ করা হয় না।

আরও খবর

Sponsered content