করোনাভাইরাস

‘যাদের এনআইডি নেই, তারা করোনা টিকা পাবেন না’

  প্রতিনিধি ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ , ৬:১৮:৩৯ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:
সুনামগঞ্জে করোনা ভাইরাসের টিকা দেয়ার জন্য কোভিড ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রামের আওতায় দুদিন ব্যাপী ডিস্ট্রিট লেবেল ট্রেনিং অব ট্রেইনার্স (টট) প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। 

সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় শহরের হাছননগর এলাকায় ইপিআই ভবনের সম্মেলন কক্ষে প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন সিভিল সার্জন মো. শামছ উদ্দিন।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় জেলার বিভিন্ন উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, মেডিকেল অফিসার, জেলা ইপিআই সুপারিন্টেন্ড, মেডিকেল টেকনোলজিস্টসহ জেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী বক্তব্যে সিভিল সার্জন মো. শামছ উদ্দিন বলেন, করোনার টিকা দিতে গেলে আমাদের কি কি প্রস্তুতি লাগবে কি কি সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে এ বিষয়ে জেলা উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। টিকা নেয়ার জন্য জনগণকে কিভাবে উদ্বুদ্ধ করা যাবে এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

তিনি আরো বলেন, যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে তারা টিকা পাবেন, যাদের নেই তারা পাবেন না। যিনি টিকা নেবেন তিনি নিরাপদ। যদি কেউ টিকা না নেন তিনি অনিরাপদ। টিকার মেয়াদ রয়েছে প্রথম ডোজ নেয়ার পর কেউ যদি মনে করেন তিনি ইমুনাইজড হয়ে গেছেন এমনটি ভাববার কোন কারণ নেই। কারণ দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার পূর্ব পর্যন্ত কেউ ইমুনাইজড নন। তাই প্রথম টিকা নেয়ার পরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। গর্ভবতী মা ও দুগ্ধ দানকারী মা, বিশেষ ওষুধে যাদের এলার্জি রয়েছে ও অসুস্থ ব্যক্তি টিকা নিতে পারবেন না।

তিনি লেন, টিকাদান কর্মসূচি নিয়ে গুজব আগেও ছিল, এখনো রয়েছে। গুজবে বিশ্বাস করে ভ্যাকসিন গ্রহণ না করলে তিনি নিজেই নিজের ক্ষতি করবেন। এই প্রশিক্ষণের পর মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। তাদেরও প্রশিক্ষণ দেয়ার পর টিকাদানের জন্য জেলা সদরে আটটি, উপজেলা সদরে দুইটি করে টিকাদান কেন্দ্র গুলো প্রস্তুত হয়ে যাবে।

আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে টিকাদান শুরু করা যাবে। প্রশিক্ষণ প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে বলেও জানান তিনি।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by