বাংলাদেশ

মেয়ের চেয়ে মায়ের বয়স ৩০ বছর কম !

  প্রতিনিধি ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ , ৫:৪৭:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক :

জাতীয় পরিচয়পত্রে মায়ের চেয়ে মেয়ের বয়স ৩০ বছর বেশি। আর এভাবেই প্রায় এক যুগ ধরে বয়স্ক ভাতা তুলছেন আমেনা বেগম। ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নের মধ্য দীঘলকান্দী গ্রামে।

উপজেলা সমাজসেবা অফিস থেকে জানা গেছে, মধ্য দীঘলকান্দী গ্রামের মৃত সাখাওয়াত হোসেন ব্যাপারীর স্ত্রী রাহেলা বেগম। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার জন্ম ১৯৫৭ সালের ২১ অক্টোবর। অন্যদিকে তার মেয়ে আমেনা বেগমের জন্ম ১৯২৭ সালের ১ জানুয়ারি। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী বর্তমানে তার বয়স প্রায় ৯৬ বছর, যা মায়ের চেয়ে ৩০ বছর বেশি।

অবশ্য আমেনা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি স্বামী পরিত্যাক্তা ভাতা পান বলে জানিয়েছেন। তবে বয়স্ক ভাতা ভোগীদের তালিকায় তার নাম কেন জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দেননি।

 

স্থানীয় ইউপি সদস্য মহিদুল হাসান বলেন, ‘ওই মেয়ের বয়স ৪০ বছরের বেশি হবে না। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি ভাতা পান। আমি জানতাম সে স্বামী পরিত্যাক্তা ভাতা পায় এবং তার মা বিধবা ভাতা পান।’ ভোটার তালিকা তৈরিতে ভুল তথ্য দিয়ে ভোটার হলে বা বয়স্ক ভাতা নিলে তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি জানান তিনি।

 

এ বিষয়ে জোড়গাছা ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বে) মো. নাইম হোসেন বলেন, ‘জাতীয় পরিচয়পত্রে কারো বয়স বেশি হলে তিনি বয়স্ক ভাতা পাবেন। জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত বিষয় উপজেলা নির্বাচন অফিস বলতে পারবে।’

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আশরাফ হোসেন বলেন, ‘জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির সময় টাইপিং মিসটেক হতে পারে। তাছাড়া এমনটি হওয়ার কথা নয়।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাঈদা পারভীন বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনাদের (আমাদের সময়) মাধ্যমেই জানলাম। বিষয়টি তদন্ত করে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আরও খবর

Sponsered content

Powered by