প্রতিনিধি ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৫:৪১:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ
ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ
বিকাশ, নগদ, রকেট ও উপায়সহ বিভিন্ন মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) অন্তত পাঁচ হাজার এজেন্ট হুন্ডি চক্রে জড়িত। এদের কারণে গত এক বছরে প্রায় ৭৫ হাজার কোটি সমপরিমাণ টাকা পাচার হয়েছে।
এর কারণে গত চার মাসে বাংলাদেশ প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ রেমিট্যান্স থেকে বঞ্চিত হয়েছে। যা ইউএস ডলারে ৭ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের (৭৮০ কোটি) মতো।
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মাদ আলী এ তথ্য জানান।
এর আগে বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে অবৈধ হুন্ডি চক্রের ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডির ফিন্যানশিয়াল ক্রাইম ও সাইবার ক্রাইম ইউনিট।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রবাসীদের উপার্জিত রেমিট্যান্স দেশে না এসে উল্টো দেশ থেকে টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। সিআইডি প্রধান বলেছেন, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের অবৈধ এজেন্টরা তিনটি ভাগে ভাগ হয়ে অবৈধ হুন্ডি করে থাকে। বিদেশে তাদের একটি চক্র প্রবাসীদের কাছ থেকে ডলার সংগ্রহ করে। সেই চক্রের বাংলাদেশি এজেন্টরা টাকা পাচারকারীদের কাছ থেকে সমপরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করে প্রবাসীদের স্বজনদের পরিশোধ করে। পরে টাকা পাচারকারী বিদেশের এজেন্টের কাছ থেকে টাকা সেই দেশ থেকে নিয়ে নেয়। এভাবে কোটি কোটি টাকা দেশ থেকে কালোটাকার মালিকরা পাচার করছে। অপরদিকে বাংলাদেশ রেমিটেন্স হারাচ্ছে।
সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী বলেন, দেশে হঠাৎ ডলারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে আমরা এই চক্রের সন্ধান পাই। প্রবাসীদের কষ্টার্জিত আয় ডলার হয়ে দেশে আসে না। একটি চক্র তা পাচার করে দিচ্ছে। এতে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- আক্তার হোসেন (৪০), দিদারুল আলম সুমন (৩৪), খোরশেদ আলম ইমন (২২), রুমন কান্তি দাস জয় (৩৪), রাশেদ মনজুর ফিরোজ(৪৫), মো. হোসাইনুল কবির (৩৫), নবীন উল্লাহ (৩৭), মো. জুনাইদুল হক (৩০), আদিবুর রহমান (২৫), আসিফ নেওয়াজ (২৭), ফরহাদ হোসাইন (২৫), আবদুল বাছির (২৭), মাহবুবুর রহমান সেলিম (৫০), আব্দুল আউয়াল সোহাগ (৩৬), ফজলে রাব্বি (২৭) ও শামীমা আক্তার (৩২)
এই হুন্ডি ব্যবসার সঙ্গে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের যারাই জড়িত থাকুক তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান সিআইডি প্রধান।