বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের পেছনে এক সাংবাদিক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  প্রতিনিধি ৮ ডিসেম্বর ২০২২ , ৯:২০:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক :

সমাবেশ ঘিরে চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ জানানোর পেছনে একজন বাংলাদেশি সাংবাদিককে দায়ী করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

মন্ত্রী বলেছেন, লাশ পড়লে ওরা খুব খুশি হয়। কারণ তখন পাবলিক সেন্টিমেন্ট পাওয়া যায়। ঘটনা ঢাকায় হওয়ার আগেই, এটা ওয়াশিংটনে চলে গেছে। তবে সেই সাংবাদিকের নাম তিনি বলতে চাননি।

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) কক্সবাজারের ইনানী বিচে এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।

আব্দুল মোমেন বলেন, এখানে কতগুলো প্রাইভেট টেলিভিশন রয়েছে। নো ওয়ান ইজ আন্ডার প্রেশার। অন্যান্য দেশে, আমি কিছুদিন আগে কপ-২৭–এ মিশরে গিয়েছিলাম, শুনেছি ওখানে সরকারের কথা ছাড়া কেউ কোনো কথা বলতে পারে না। বাংলাদেশ ইজ নট লাইক দ্যাট। তবে ইউএসের উদ্বেগের একটা কারণ হচ্ছে আমাদের সাংবাদিক, উনি এটা উসকে দেন। ওই সাংবাদিকের নাম জানতে চাইলে মন্ত্রী তাঁকে খুঁজে বের করার পরামর্শ দেন।

মন্ত্রী বলেন, এর মূল কারণও আমাদের এক বাংলাদেশি সাংবাদিকতা করেন। যে সাংবাদিক হোয়াইট হাউস এবং ইউএন দুই জায়গাতেই ওনার এক্সেস আছে। বাংলাদেশে কিছু হইলেই তিনি সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্ন করেন। প্রশ্ন করার ফলে উনি উত্তর দেন। উত্তরটা উনি (সাংবাদিক) লিখেও দেন। অনেক সময় উনি আগে-ভাগে লিখেও দেন, টেক্সট করেন। আমি এইটা প্রশ্ন করব, আর এই দুর্ঘটনা হয়েছে। সেই কারণেই বোধহয় ইউএসএ সো প্রম্পট।

যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) যেটা চায় যে কোনো সংঘাত না হোক, আমরাও চাই না। উই উইল মেনটেইন মেক্সিমাম রিস্ট্রেইন। তবে আমেরিকায়ও রাস্তায়, হোয়াইট হাউসের সামনেও বড় জনসভায় আমেরিকান সরকার রাজি হবে না। নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের রাস্তায় সভা করার ক্ষেত্রে দে উইল নট অ্যালাউ। দেয়ার ইজ অ্যা রুল, সিস্টেম। আমরা আমাদের পথচারীদের বাধা দিতে চাই না, বিঘ্ন দিতে চাই না। তারা (বিএনপি) ডেমোনেস্ট্রেশন করতে চান, সম্মেলন করতে চান, নিশ্চয়ই হলের ভেতরে করতে পারেন, মাঠের মধ্যেও করতে পারেন। গভর্নমেন্ট ইজ উইলি, কারণ বাংলাদেশের সব লোকের কথা বলার অধিকার আছে। ইট ইজ ফ্রি কান্ট্রি।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by