বাংলাদেশ

রিসোর্ট থেকে ফিরে দুই যুবকের মৃত্যু: চলছে তদন্ত

  প্রতিনিধি ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ , ৭:১৫:২২ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

গাজীপুরের রিসোর্টে ২ দিনের জন্য সাড়ে ৭ লাখ টাকায় ভাড়া নেওয়া হয় ১৭টি রুম। ২৯ তারিখ রাতে আয়োজন করা হয় পার্টির আর সেখানে ছিল মদ্যপানের আয়োজনও। তবে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের মদ সরবরাহের কোন নিয়ম নেই। পুলিশ বলছে, সব বিষয়কে সামনে রেখে রিসোর্ট থেকে ফেরা দুজনের মৃত্যুর সঠিক কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে। এখনো লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন একজন। রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি বেশ কয়েকজন।

২৮ তারিখ দুপুরে বেসরকারি একটি সংস্থার ৪৩ জন কর্মী গাজীপুরের একটি রিসোর্টে যান। ২ দিন সেখানে থাকার পর ৩০ জানুয়ারি দুপুরে লন্ডন এক্সপ্রেস পরিবহনের একটি বাসে করে তারা ঢাকায় ফেরেন। সিসিটিভির ফুটেজেও তাদের সুস্থ অবস্থায় গাড়িতে উঠতে দেখা যায়।

সারাহ্ রিসোর্টের ম্যানেজার কামরুল হাসান বলেন, তারা ২৮ ও ২৯ তারিখ এ রিসোর্টে থাকেন। ৩০ তারিখ তারা সুস্থভাবে দুপুর ২টার দিকে বের হয়ে যান।

ঘটনার দিন উপস্থিত একজন কর্মী সময় সংবাদকে জানান, ২৯ তারিখ রাতে তাদের একটি ককটেল পার্টি হয়, সেখানে সবাই মদ্যপান করেন। সেখান থেকেই ঘটনার সূত্রপাত।

ফোনে ওই কর্মী জানান, খাওয়ার পর অনুভব করি গলা জ্বলছে। পরে জানতে পারি এটা ককটেল করা হয়েছে। বুক জ্বালাপোড়া আছে। এখনো আমরা নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত আছে। অন্যদের খবর নেওয়া হয়নি।

ঘটনার একদিন পর ৩১ জানুয়ারি বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়লে ২ জনকে ভর্তি করা হয় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে। সেখানেই মারা যান তারা। চিকিৎসক বলছেন, বিষক্রিয়ায় মৃত্য হয়েছে তাদের। দুজনের মধ্যে একজন হাসপাতালে আসার আগেই মারা যান। একই ঘটনায় অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর ইউনিভার্সেল হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন রাজিউর নামের একজন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

ইউনিভার্সেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ কুমার বলেন, রাজিউরের বিভিন্ন অর্গানের ড্যামেজ দেখা যাচ্ছে, তার ব্রেন ঠিকমত কাজ করছে না। তার জ্ঞানের মাত্রা কম, কিডনি লিভার কাজ করছে না। সবকিছু মিলিয়ে এ ধরনের রোগীকে আমরা শেষই বলে থাকি। তিনি কিন্তু মেকানিক্যাল ভেন্টিলেটরে রয়েছেন।

পুলিশ বলছে, ঘটনা তদন্ত চলছে। গাজীপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার একেএম জহিরুল হক বলেন, বিষয়টি কিভাবে ঘটলো, এখানে এই রিসোর্টে খাবার খেয়ে ঘটলো কিনা সেটি এখন তদন্তের বিষয়।

এ ঘটনায় এখনো বেশ কয়েকজন রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

 

Powered by