খুলনা

মহেশপুরে সাপে দংশনে ঝাড়ফুক করেও বাচানো গেলোনা শাওনকে

  প্রতিনিধি ১৭ আগস্ট ২০২১ , ৬:২৫:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ

মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধিঃ

অনেক ওঝা-কবিরাজ দিয়ে ঝাড়ফুক করেও বাচানো গেলো না ফুটফুটে যুবক শাওনকে (১৭)। শেষ মেষ সকাল ৯টার দিকে না ফেরার দেশে চলে গেলো শাওন। গত সোমবার গভীর রাতে ঘরে ঘুতন্ত অবস্থায় বিষধর সাপে পেটে কামড় দেয় শাওনকে। শাওন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের যুগিহুদা গ্রামের নুর চাঁদের পালিত সন্তান।

প্রতিবেশীরা জানান, প্রতিদিনের ন্যায় নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন শাওন। কিন্তু রাত সাড়ে ১২ টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় বিষধর সাপে কামড় দেয় শাওনকে। পরে তাকে প্রথমে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে বাগানমাঠ কবিরাজের বাড়ীতে নিয়ে গেলে কবিরাজ শাওনকে মৃত ঘোষনা করেন। পরে নিজ বাড়ীতে আবারও কবিরাজ দিয়ে চলে ঝাড় ফুক। এক পর্যায়ে সকাল ১০টার দিকে কবিরাজ মৃত ঘোষনা করে চলে যান।

শাওনের পালন কর্তা নুর চাঁদ জানান, আজ থেকে ১৭ বছর পুর্বে শাওনের বয়স যখন সাড়ে ৩মাস তখন শাওনের মা জরিনা বেগম সাপের কামড়ে মারা যায়। সেই থেকে আমি শাওনকে নিয়ে এসে লালন পালক করে আসছি। তিনি আরো জানান আমার সন্তান হিসেবেই আমার বাড়ীতে বড় হয়েছে শাওন। আজ আমার সন্তান আমার ছেড়ে চলে গেলো।

মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মুশফিকুর রহমান জানান, যুগিহুদা গ্রামের শাওনকে (১৭) সাপে দংশনের পর রাত ৩টার সময় হাসপাতালে নিয়ে আসে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে যশোর সদর হাসপাতালে রেফার্ড করি। কিন্তু শাওনের স্বজনরা তাকে যশোর না নিয়ে কবিরাজ দিয়ে ঝাড়ফুক করান।

Powered by