দেশজুড়ে

ল²ীপুরের রামগঞ্জে ৩০ বছরেও লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া, জনদুর্ভোগ চরমে

  প্রতিনিধি ২২ জুলাই ২০২০ , ৮:৩৬:২৭ প্রিন্ট সংস্করণ

বেলাল হোসেন, রামগঞ্জ (ল²ীপুর) : ল²ীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার নয়নপুর গ্রামের কাঁচা সড়কের বেহালদশা। ত্রিশ বছর থেকে রাস্তাটি পাকা না হওয়ায় জনদুর্ভোগ চরমে। বৃষ্টি হলে কাঁদা মাড়িয়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ গ্রামবাসীকে এ সড়কে চলাচল করতে হয়। উপজেলার সোনাপুর-বাংলাবাজার সড়কের আরমবাড়ীর তেহমনী থেকে নয়নপুর গ্রামের মধ্য দিয়ে নয়নপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হানাফিয়া দাখিল মাদ্রাসা, নারয়ানপুর উচ্চ বিদ্যালয় এবং লাউতলী কলেজ যাওয়ার একমাত্র দেড় কিলোমিটারের কাঁচা রাস্তা এটি। রাস্তাটি পাকা করার দাবি ৩০ বছরের। বর্ষায় রাস্তাজুড়ে কাঁদা মাটি থাকায় চলাচলকারী মানুষকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। রাস্তায় যানবাহন চলাচল দুরের কথা পায়ে হেটে পথচারীদের রাস্তা পাড়ি দেওয়াই দুরূহ পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। এ রাস্তায় রোগী নিয়ে যাতায়াত করা যাচ্ছে না। আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ী চলাচল করতে পারছে না। উপরন্ত পথচারীদের চলাচল ব্যহত হচ্ছে। আবার জমির পাকা ধান কেটে কৃষকের বাড়িতে পৌছতে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। রাস্তাার করুন দশার কারনে কৃষকের পাকা ধান কিনতে যাচ্ছেন না কোন পাইকার। ফলে পাকা ধান বিক্রি করতে পারছে না কৃষকরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৩০ হাজার মানুষের গ্রামটির ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র বাংলাবাজার ও লতিফগঞ্জে এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। রাস্তাটির দৈর্ঘ্য দেড় কিলোমিটার। এ গ্রামে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে, একটি দাখিল মাদ্রাসা এবং স্কলার্স স্কুল এন্ড কলেজ ও এম এ গোফরান গেøারিয়াস ইংলিশ মিডিয়াম নামে দুইটি কিন্টারগার্ডেন আছে, একটি এতিমখানা আছে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে পড়াশোনা করতে গ্রামের ছেলেমেয়েরা কাঁচা রাস্তা ব্যবহার করে দুই কিলোমিটার দ‚রের নারায়নপুর উচ্চ বিদ্যালয়, লাউতলী কলেজে যাতায়াত করে। গ্রামটির কিছু মানুষ স্থানীয় বিভিন্ন শিল্পকারখানায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। অধিকাংশ মানুষই কৃষিকাজ করেন। স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গির আলম ও রফিক মাষ্টার বলেন, বৃষ্টি হলে কাঁচা রাস্তায় কাদাপানি জমে থাকে। তখন রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলতে পারে না। এমনকি হেঁটে চলাচলও কঠিন হয়ে পড়ে। এতে শিক্ষার্থীরা স্কুল কলেজ, মাদ্রাসায় যেতে অনিহা প্রকাশ করে। সবচেয়ে বেশী সমস্যা হয় অসুস্থ্য রোগীদের হাসপাতালে নিতে। ইছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবদুল মতিন সাংবাদিকদের জানান, ‘এ গ্রামের বাসিন্দারা পাকা সড়কের অভাবে দুর্ভোগে আছেন এটা আমি জানি। কিন্ত আমি অল্প কয়েকদিন হয়েছে চেয়ারম্যানের দ্বায়িত্ব নিয়েছি। স্থানীয় সংসদ ড. আনোয়ার হোসেনের সাথে কথা বলে রাস্তাটি পাকা করার ব্যবস্থা করব।’ স্থানীয় সংসদ ড. আনোয়ার হোসেন খান বলেন, রাস্তাটির বিষয় আমাকে আগে কেউ অবগত করেনি। স¤প্রতি স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে রাস্তাটির আইডিসহ একটি আবেদন পেয়েছি। এ বছর অবশ্যই সড়কটি পাকা করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by