চট্টগ্রাম

লংমার্চে হামলা: সারা দেশে ১৯ অক্টোবর বিক্ষোভ, ২১ অক্টোবর রাজপথ অবরোধ

  প্রতিনিধি ১৮ অক্টোবর ২০২০ , ১১:৪৩:৫২ প্রিন্ট সংস্করণ

দেশব্যাপী অব্যাহত ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে ৯ দফা দাবিতে ঢাকা-নোয়াখালী লংমার্চের সমাপনী সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, এ সরকার ধর্ষকদের লালন করে যাচ্ছে। যারা ধর্ষকদের লালন-পালন করছে তাদের বিচার চাই। আমাদের শান্তিপূর্ণ লংমার্চে ফেনীসহ চারস্থানে সরকারদলীয় সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে। আমাদের কত আর মারবেন? এদেশের তরুণরা লড়াই করে যাবে। আমাদের আন্দোলন চলবে।

শনিবার বিকেলে জেলা শহর মাইজদীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে ঢাকা-নোয়াখালী লংমার্চের সমাপনী সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।

সমাবেশ থেকে নেতারা ফেনীতে হামলার প্রতিবাদে ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে ১৯ অক্টোবর সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ এবং ২১ অক্টোবর সারা দেশে রাজপথ অবরোধের ঘোষণা দেন।

সমাপনী সমাবেশের নোয়াখালীর সমন্বয়ক ও উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি অ্যাডভোকেট মোল্লা হাবিবুর রাসুল মামুনের সভাপতিত্বে ও চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নোয়াখালীর সাধারণ সম্পাদক রবিউল পলাশের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য লক্ষ্মী চক্রবর্তী, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক জামশেদ আনোয়ার তপন, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ইনচার্জ নিখিল দাস, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের সহকারী সাধারণ সম্পাদক হাবীব ইমন, বাংলাদেশ নারী মুক্তির সংগঠক সীমা দত্ত, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট একাংশের সভাপতি মাসুদ রানা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট একাংশের সভাপতি আল কাদরী জয় ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সংগঠক গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।

 

এ দিকে ফেনীতে হামলার পর বেগমগঞ্জের চৌমুহনী ও একলাশপুরে দুপুরে লংমার্চের সমাবেশ স্থগিত করে আন্দোলনকারীরা। সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি আল কাদরি জয় জানান, লংমার্চের সমাবেশে আহত ২৫জন নেতা-কর্মীকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ও চৌমুহনীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া ১১ জনের মধ্যে সানজিতা ইমার (২১) অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় সন্ধ্যার পর তাকে অ্যাম্বুলেন্স করে ঢাকায় নেওয়া হয়। অন্য আহতরা তাদের লংমার্চের গাড়ি বহরে ঢাকার পথে রওয়ানা হন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by