প্রতিনিধি ২১ আগস্ট ২০২৪ , ৩:৩৫:২২ প্রিন্ট সংস্করণ
শেখ হাসিনা সরকারের বিদায়ের পর বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ উপাচার্যদের যে পদত্যাগের হিড়িক শুরু হয়েছে তাতে এবার যুক্ত হলো নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল বাকীর নাম।
বুধবার (২১ আগস্ট) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য বরাবর তিনি উপ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ বাতিল করন ও মূলপদে যোগদানের অনুমতি প্রদানের জন্য পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। নোবিপ্রবির রেজিস্ট্রার দফতর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে নোবিপ্রবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল বাকী থাইল্যান্ডে অবকাশের জন্য গত ১৩ আগস্ট থেকে আগামী ২৬ আগস্ট পর্যন্ত ছুটি নিয়ে থাকলেও তিনি দেশে অবস্থান করেন বলে জানা যায়। এরই মধ্যে মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের ই-মেইলে জয়েনিং লেটার পাঠিয়েছেন। নোবিপ্রবি উপ-উপাচার্যের জয়েনিং লেটার সম্পর্কে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার তামজিদ হোসেন চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘অনলাইনে জয়েনিং লেটার গ্রহণের সুযোগ নেই। স্ব শরীরে ক্যাম্পাসে এসে যোগদান করতে হবে।’
পদত্যাগপত্রে ড. মো. আব্দুল বাকী লিখেছেন, ‘আমি নিম্নস্বাক্ষরকারীকে গত ২৫/০৮/২০২১ ইং তারিখে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০১ ধারা ১২(১) অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রো- ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়। উক্ত পদে যোগদানের সময় হতে অদ্যাবধি আমি অত্যন্ত নিষ্ঠা ও সততার সাথে আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমান পরিবেশ ও পরিস্থিতি বিবেচনায় উক্ত নিয়োগপত্রের (ঘ)নং শর্ত আলোকে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো- ভাইস চ্যান্সেলর পদে আমার নিয়োগটি অদ্য তারিখ হতে বাতিল করে মূলপদে যোগদানের অনুমতি প্রদানে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, গতকাল ২০ আগস্ট উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ ও সাবেক রেজিস্ট্রারের অপসারণের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলো নোবিপ্রবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পদত্যাগের বিষয়ে জানতে উপ-উপাচার্যকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।