প্রতিনিধি ২৭ জানুয়ারি ২০২২ , ৪:৫৫:০০ প্রিন্ট সংস্করণ
ভোরের দর্পণ ডেস্ক:
স্বপ্নের মেট্রোরেলের ভায়াডাক্ট বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। এর মাধ্যমে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার পথ নির্মাণের কংক্রিটের স্ল্যাব বসানোর কাজ শেষ হলো।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের প্রথম মেট্রোরেল নির্মাণ প্রক্রিয়ায় এটি একটি বড় অগ্রগতি।
সচিবালয় ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কিছু অংশে কংক্রিটের স্ল্যাব বসানো বাকি ছিল। গত রাতে বেশির ভাগ স্ল্যাব বসানো হয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ১১টা ১৪ মিনিটে জাতীয় প্রেসক্লাবের কাছে ৫৮২ ও ৫৮৩ নম্বর পিয়ারের মধ্যে ভায়াডাক্টের শেষ অংশটি বসানো হয়।
পিয়ারগুলোর উপরে যে কংক্রিটের কাঠামো বসিয়ে যোগসূত্র তৈরি করা হয়, তাকে বলে ভায়াডাক্ট। ভায়াডাক্টের ওপরেই বসবে রেললাইন, তার ওপর দিয়ে চলবে বৈদ্যুতিক ট্রেন।
প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক আজ এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে ভায়াডাক্ট বসানোর কাজ শেষ হওয়ার ঘোষণা দেন।
উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল পর্যন্ত দেশের প্রথম মেট্রোরেল ব্যবস্থা এমআরটি-৬ লাইনের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে।
উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশের ওপর রেললাইন বসানো হয়। ওই অংশে পরীক্ষামূলকভাবে মেট্রোরেল চলাচল করছে। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশে আজ কাজ শেষ হয়েছে। সেখানে রেললাইন বসানো, বিদ্যুৎ–ব্যবস্থা স্থাপনসহ অন্যান্য কাজ শুরু হবে।
কাজ শেষ হলে ১৬টি স্টেশনের মেট্রোরেল ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী বহন করতে পারবে। এতে ৪০ মিনিটেই উত্তরা থেকে মতিঝিল পৌঁছানো যাবে। বর্তমানে এই পথ পাড়ি দিতে প্রায় ২ ঘণ্টা সময় লাগে।
আগামী ডিসেম্বরে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশে মেট্রোরেল যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে। আর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পুরো পথে মেট্রোরেল চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে। অবশ্য এই প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের পথের নাম লাইন-৬।
মেট্রোরেল প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। এখন প্রকল্পের কাজে আরও কিছু বিষয় যুক্ত করা হচ্ছে। ফলে আরও সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয় বাড়তে পারে।