সরকার পতনের আন্দোলনে বিএনপি সাথে ঐক্যমতে -গণতন্ত্র মঞ্চ

সরকার হটানোর আন্দোলন ও নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্র রূপান্তরে একসঙ্গে কাজ করতে ঐক্যেমতে পৌঁছেছে গণতন্ত্র মঞ্চ-বিএনপি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে দলের চেয়ারপারসনের গুলশানে কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি। পরে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব সাংবাদিকদের ঐক্যমতে পৌঁছানোর কথা জানান।

আসম আবদুর রব বলেন, বাংলাদেশের জন্য আজ দিএকটি ঐতিহাসিক দিন। সারা পৃথিবীর কাছে আজ বার্তা যাবে যে, বাংলাদেশে যারা অনৈতিকভাবে, অবৈধভাবে ক্ষমতায় আছে তাদের সরানোর জন্য বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের সৃষ্টির মাধ্যমে রাজনৈতিকগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এ ঐক্য শুধু স্বৈরাচারের পতন ঘটাবে না, রাষ্ট্র মেরামত করবে, সংস্কার করবে, সংবিধান সংস্কার করবে এবং আন্দোলন ও নির্বাচন দুটিই একসঙ্গে করবে।

এসময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৈঠকের বিষয়বস্তু তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এ সরকারের বিরুদ্ধে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে একটা গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করতে আমরা একযোগে যুগপৎ আন্দোলন করব বলে আজকের বৈঠকে একমত হয়েছি। এরই মধ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে সরকার পতনের আন্দোলন নিয়ে প্রচণ্ড আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা  সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, এ বিষয়কে তরান্বিত করার জন্য আমরা একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করব। যার মাধ্যমে আমাদের লক্ষ্য, কর্মসূচি, রুপরেখা ঠিক করা হবে। আমরা বিশ্বাস করি যে, সরকার পতনের লক্ষ্যে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করার মধ্য দিয়ে আপাতত যুগপৎ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা আন্দোলনকে আরো বেগবান করতে পারব এবং জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আমরা ক্ষমতাসীনদের পরাজিত করতে সক্ষম হব।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, এটা স্পষ্ট যে বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে আমরা কেউ যাবো না। আমরা যেটা দাবি করেছি সেটা হচ্ছে এই সরকারের পদত্যাগ, অন্তবর্তীকালীন সরকারের অধিনে নির্বাচন ও বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থা গুনগত পরিবর্তন সংবিধান সংস্কারের মাধ্যমে।

বৈঠকে গণতন্ত্র মঞ্চের প্রতিনিধি দলের জেএসডির আসম আবদুর রব, শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, শহীদুল্লাহ কায়সার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, আকবর খান, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, আবুল হাসান রুবেল, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ফারুক হাসান, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, হাবিবুর রহমান রিজু এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের ইমরান ইমন ও সৈয়দ হাসিব উদ্দিন হোসেন প্রমুখ।

বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

গত ৮ আগস্ট জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন-এই সাতটি দল নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। প্রথমবারের মতো বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করল গণতন্ত্র মঞ্চ।