দেশজুড়ে

সিলেটে গরমে হাঁসফাঁস, অতিষ্ঠ জনজীবন

  প্রতিনিধি ২৮ এপ্রিল ২০২১ , ৯:৩৮:২৭ প্রিন্ট সংস্করণ

বাপ্পা মৈত্র, সিলেট ব্যুরো:

বৈশাখ মাসের তীব্র তাপদাহ আর গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সিলেট নগরের জনজীবন। গরমে মানুষ হাঁসফাঁস করছেন। গত কয়েক দিন ধরে সূর্যের খরতাপে সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। অনেক দিন ধরে বৃষ্টি না হওয়া আর প্রচন্ড রোদে ঘর থেকে বের হতে পারছে না শ্রমিক, দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে- এমন অসহনীয় গরম চলবে আরও কয়েকদিন।

সিলেট আবহাওয়া কার্যালয়সূত্রে জানা যায়, সিলেটে যে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, এটা অস্বাভাবিক তাপমাত্রা নয়। বৈশাখে বৃষ্টি না থাকায় এমন আবহাওয়া। চলমান এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে আরও সপ্তাহখানেক। তবে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে, রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ বুধবার ভোরে সিলেটে কাল বৈশাখীকে সঙ্গী করে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও এই বৃষ্টিতে তাপমাত্রায় কোনো হেরফের হবে না। ইতিমধ্যে সিলেটে অনেক এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে সিলেট প্রচুর বৃষ্টিপাত সম্ভাবনা রয়েছে। তখন তাপমাত্রা কিছুটা কমতে শুরু করবে। গত মঙ্গলবার সিলেটে তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। আগের দিন সোমবার ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা গত তিন-চারদিন থেকে বিরাজ করছে। তবে সিলেটের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২০১৪ সালের মে মাসে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সকালের ঝলমলে রোদ ঘড়ির কাটার সাথে পাল্লা দিয়ে ঝরাতে থাকে প্রখর তাপ। সময় বাড়ার সাথে সাথেই বাড়তে থাকে গরমের তীব্রতা। তবে নাগরিক জীবনে মানুষকে এই অসহ্য গরম উপেক্ষা করেই ছুটতে হচ্ছে নিজ নিজ কর্মস্থলে। আর কাজের উদ্দেশে বাইরে বের হলেই তীব্র দাবদাহে শরীর থেকে ঘাম ঝরে। খানিক হাটাচলাতেই যেন তৃষ্ণায় বুক ফেটে যায়। পবিত্র রমজান মাসে রোজাদাররা গরমের কারণে কঠিন সময় পার করছেন।

নগরের বাগবাড়ির বাসিন্দা সাগর তালুকদার বলেন, ‘এই তীব্র গরমে বাচ্ছা-কাচ্ছা নিয়ে খুব সমস্যায় পড়েছি, বাসার ছোট বাচ্চারা কিছুতেই এমন গরম সহ্য করতে পারছে না। অন্য বছর বৈশাখ মাসে ঘন ঘন বৃষ্টি হয়, কিন্তু এবার হচ্ছে না’।

বন্দরবাজার এলাকার মো. শাহজাহান বলেন, ‘গরমের কারণে কিছুই করতে পারি না। বাতাসের আশায় ক্বিনব্রীজের কাছে গিয়ে দেখি, গরম আরও বেশি সেখানে। নদীর ধারে গিয়েও তাই শান্তি পাইনি। আবার ঘরে থাকাও কষ্টকর হয়ে পড়ছে। একটু স্বস্তির জন্য বৃষ্টির আশায় মানুষ অধীর অগ্রহে অপেক্ষা করছে। এভাবে বৃষ্টিহীন অবস্থা চলতে থাকলে মানুষের কষ্ট বেড়ে যাবে’।

নগরের জিন্দারাজরে কয়েকজন রিকশা চালক জানান, তীব্র গরম তার উপর আবার রাস্তায় যানজট, দুটো মিলে খুব খারাপ অবস্থা। বাইরে বের হলেই ঘামে কাপড় ভিজে যাচ্ছে, অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছি। তাই ঠিকমতো কাজ করতে পারছি না।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by