চট্টগ্রাম

হাটহাজারীতে কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা করছে না অফিস

  প্রতিনিধি ২০ আগস্ট ২০২৪ , ৭:২৯:৩০ প্রিন্ট সংস্করণ

হাটহাজারীতে কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা করছে না অফিস

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শেষে এক দফা এক দাবি ছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ। গত ২০ আগষ্ট বাংলাদেশ ছেড়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে চলে যান।

এরপর থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সদস্য,উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান,ভাইস চেয়ারম্যান,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান,এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দরা ক্ষমতাচ্যুত দল আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হওয়ায় কেউ অফিস করছে না। এরই ধারাবাহিকতায় হাটহাজারী উপজেলায় ১৪ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভায় বেশিরভাগ চেয়ারম্যানরা দায়িত্ব পালন করছে না।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার ১ নং ফরহাদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত চেয়ারম্যান শওকত আলম একদিন অফিসে আসেননি গত ১৫ দিন ধরে। এদিকে ২ নং ধলই ইউনিয়ন পরিষদের স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবুল মনসুর প্রায় প্রতিদিন অফিস করতে দেখা যায়।৩ নং মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন খান সুমন বেশ কয়েকদিন অফিস করলেও হঠাৎ পরশুদিন ইউনিয়ন পরিষদে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যাওয়ার কারণে ২ দিন ধরে অফিস করতে পারছে না।

৪ নং গুমানমর্দ্দন ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোঃ মুজিবুর রহমান অফিসে আসা যাওয়ার মধ্যে থাকতে দেখা গেছে। ৫নং নাঙ্গলমোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত হারুনুর রশিদ প্রায় প্রতিদিন অফিস করতে দেখা যায়।৬নং ছিপাতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত নুরুল আহসান বাবু প্রতিদিন অফিস করতে দেখা যায়।৭নং হাটহাজারী ইউনিয়নের সম্পূর্ণ অংশ জুড়ে বর্তমানে হাটহাজারী পৌরসভা গঠিত হওয়ায় পৌরসভার প্রশাসক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মেহেরাজ শারবীন।

অন্যদিকে ৮নং মেখল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধি সালাউদ্দিন চৌধুরী গত ১৫ দিনে অফিস করতে দেখা যায়নি।৯ নং গড়দুয়ারা ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের সরওয়ার মোরশেদ তালুকদার কে শুধু একদিন কিছু সময় অফিস করতে দেখা যায়। ১০ উত্তর মাদার্শার চেয়ারম্যান শাহেদুল আলম পরিষদে আসা যাওয়ার মধ্যে আছে ।

১১ নং ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদ এর আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন একদিনও অফিস করতে দেখা যায় নি।১২ নং চিকনদন্ডি ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান নুরুল আবছার মাঝে মাঝে অফিসে আসতে দেখা গেছে।১৩ নং শিকারপুর ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান মোঃ আবদুল খালেক কে তেমন অফিসে দেখা যাচ্ছে না।

১৫ নং বুড়িশ্চর ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান মোঃ জাহেদ কে প্রায় প্রতিদিন অফিস করতে দেখা যায়।
এইদিকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, ইউনিয়ন পরিষদগুলোর চেয়ারম্যানদের এখনই অপসারণ করা হচ্ছে না। পরে প্রয়োজন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

উপদেষ্টা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে এখন হাত দিচ্ছি না। যাচাইবাছাই করে দেখা যাক সেখানে কার্যক্রম কী রকম আছে, যদি পরবর্তীকালে প্রয়োজন হয় বা প্রয়োজনের তাগিদে কোনো পদক্ষেপ নিতে হয় সেটি নেওয়া হবে। আর জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনসহ অন্যান্য যে কাজগুলো দৈনন্দিন করতে হয় সেগুলো যেন চালু থাকে এবং গ্রামীণ পর্যায়ের উন্নয়ন কার্যক্রম যেন চলমান থাকে সেজন্য প্রথম দিকেই স্থানীয় যারা সরকারি কর্মচারী আছেন, তাদের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।

আরও খবর

Sponsered content