প্রতিনিধি ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ , ৫:১০:২৭ প্রিন্ট সংস্করণ
ব্যক্তিগত স্বার্থে সাংবিধানিক ও আইনগত ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুষ লেনদেনকে অবৈধ ঘোষণা এবং আইনে কালো টাকা সাদা করার বৈধতা স্থায়ীভাবে বন্ধ করাসহ ৪৭ দফা সুপারিশ করেছে ড. ইফতেখারুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্কার কমিশন।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ড. ইফতেখারুজ্জামান এ কথা জানান।
তিনি বলেন, দুদক বর্তমানে একটি বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান, তবে এটিকে একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া প্রয়োজন। আমরা চাই দুদক স্বাধীন ও কার্যকর হোক। তবে, এই স্বাধীনতারও সীমা থাকতে হবে। সেজন্য আমরা সংস্কার সুপারিশ করেছি।
প্রতিবেদনে দুদকের সদস্য সংখ্যা তিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ করার সুপারিশ করা হয়েছে জানিয়ে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যার মধ্যে কমপক্ষে একজন নারী সদস্য অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে। অতিরিক্তভাবে, দুদকের কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত বিচারিক ও আর্থিক দক্ষতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
তিনি আরও বলেন, দুদককে আরও গতিশীল করার জন্য, স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা হিসেবে ৪৭টি সুপারিশ প্রস্তাব করা হয়েছে। আশা করি স্বল্পমেয়াদি সুপারিশ বাস্তবায়নে ছয় মাস, মধ্যমেয়াদি সুপারিশ বাস্তবায়নে ১৮ মাস সময় লাগবে এবং দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার বাস্তবায়নে ৪৮ মাসের মতো সময় লাগতে পারে।