বাংলাদেশ

করোনায় বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষতির জের হবে ১২ লাখ কোটি ডলার : আইএমএফ

  প্রতিনিধি ২৫ জুন ২০২০ , ৯:২২:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ

অনলাইন ডেস্কঃ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ বলছে চলতি বছর তো বটেই, আগামী বছরেও অর্থনৈতিক ধাক্কা কাটবে না এবং আইএমএফ যা অনুমান করছিল, তার চেয়ে অনেক বড় ধাক্কা হতে যাচ্ছে এটি।

নভেল করোনাভাইরাসজনিত মহামারির কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে যে ক্ষতি হবে, এর আর্থিক জের ১২ ট্রিলিয়ন (১২ লাখ কোটি) ডলারে গিয়ে দাঁড়াবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমএফ। সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও দ্য টেলিগ্রাফ এ খবর জানিয়েছে।

আইএমএফ জানিয়েছে, ২০২০ সালে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস পেয়েছে ৫ শতাংশ। আইএমএফের পূর্বাভাস বলছে, ২০২১ সালে বিশ্ব প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৪ শতাংশ হতে পারে। এর আগে গত এপ্রিলে প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৮ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল।

আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ বলেন, ‘করোনা মহামারি মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশ লকডাউন ঘোষণা করে। তাতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হ্রাস পায়। অনেকের জীবন রক্ষা পায়। কিন্তু এর ফলে ব্যাপক মন্দা দেখা দেয়। প্রায় ৭৫ শতাংশ দেশ এমন এক সময়ে লকডাউন শিথিল করছে যখন মহামারির প্রকোপ বাড়ছে। কোনো কোনো দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণও দেখা যাচ্ছে। কিন্তু যতক্ষণ না পর্যন্ত চিকিৎসাবিজ্ঞান করোনা সমস্যার সমাধান না করতে পারছে, তত দিন অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা কাটবে না।’

আইএমএফ বলছে, বিশ্বের ২০১৯ সালের অর্থনৈতিক অবস্থায় ফিরে আসতে আরও দুই বছর সময় লাগবে। তারা সতর্ক করেছে, সরকারগুলোকে তাদের ভঙ্গুর অর্থনীতির আর্থিক সহায়তা অপসারণের বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। তারা বলছে, করোনার কারণে চলতি অর্থবছরে বিশ্ব অর্থনীতিতে যে হারে মন্দা দেখা দেবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, প্রথম ছয় মাসে প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ এর চেয়ে আরও অনেক বেশি। ধীরে ধীরে অর্থনীতির গতি ফিরবে।

গত কয়েক দশক এমন পরিস্থিতি দেখেনি চীন। শুধু তা–ই নয়, চলতি বছর ৯৫ শতাংশ দেশের জীবনযাত্রার মান হ্রাস পাবে এবং মাথাপিছু আয়ে ৯৫ শতাংশই ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি দেখবে। আইএমএফের নতুন মূল্যায়ন এপ্রিলের মতোই মহামারির কারণে সৃষ্ট গুরুতর অর্থনৈতিক ক্ষতি এবং এর প্রতিক্রিয়াকেই নির্দেশ করছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by