চট্টগ্রাম

মিরসরাইয়ে যুবদল নেতার নির্দেশে ১২ ট্রাক স্ক্রাপ লুটের অভিযোগ

  প্রতিনিধি ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ৩:৫০:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ

মিরসরাইয়ে যুবদল নেতার নির্দেশে ১২ ট্রাক স্ক্রাপ লুটের অভিযোগ

মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ থানা যুবদলের আহবায়ক সিরাজুল ইসলামের নির্দেশে ব্যবসায়ীর ১২ ড্রাম ট্রাক স্ক্রাপ (ডাস্ট) লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সোনাপাহাড় এলাকায় অবস্থিত বিএসআরএম ফ্যাক্টরী থেকে স্ক্রাপ বোঝায় ড্রাক ট্রাক বের হওয়ার পর সোনাপাহাড় থেকে ঠাকুরদিঘী এলাকায় মালামালগুলো লুট করা হয়। লুট করা স্ক্রাপ এর মূল্য প্রায় ৩০ লাখ টাকা।

স্ক্রাপের মালিক মক্বা এন্ট্রারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী মো. নুর নবী অভিযোগ করেন, আমি বুধবার সন্ধ্যায় বিএসআরএম থেকে স্ক্রাপ ১২ টি ড্রামট্রাক বোঝায় করে সীতাকুন্ডের ভাটিয়ারি নিয়ে যাচ্ছিলাম। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন স্পটে যুবদলের আহবায়ক সিরাজের নির্দেশে ৭০ থেকে ৮০ জন সন্ত্রাসী গাড়ির চালকদের অস্ত্রের মুখে জিম্মী করে সব মালামাল লুট করে নেয়। আমার মালামাল নেওয়ার জন্য নিরাপত্তা চেয়ে জোরারগঞ্জ, মিরসরাই ও সীতাকুন্ড থানায় ১১ ফেব্রুয়ারি লিখিতভাবে আবেদন করেছি। কিন্তু থানা পুলিশ কোন ধরনের সহযোগিতা করেনি। তিনি আরো বলেন, এর পূর্বে গত ১৫ জানুয়ারি ও ২০ জানুয়ারি সিরাজের স্ত্রীর ভাই জামালের নেতৃত্বে আমার ৭ ড্রামট্রাক স্ক্রাপ লুট করে নিয়ে যায় তারা। তারা আমাকে হুমকি দেয় স্ক্রাপ ব্যবসা তারা ছাড়া আর কেউ করতে পারবেনা। বুধবারের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানা যুবদলের আহবায়ক সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় আমি কোনভাবে জড়িতনা। তখন ওসিকে বিদায় জানাতে থানায় উপস্থিত ছিলাম। প্রয়োজনে ওসি থেকে খবর নেন।

এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম শিফাতুল মাজদার বলেন, মালামাল নেওয়ার সময় পুলিশের টিম ছিল। কিন্তু লুটকারীদের সাথে ড্রাক চালকদের যোগসাজস ছিল। তারা পুলিশের পেছনে পেছনে না গিয়ে গাড়ি থামালো কেন? 

আরও খবর

Sponsered content