প্রতিনিধি ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ৬:৫৯:২৮ প্রিন্ট সংস্করণ
নাটোরের সিংড়ায় মোবাস্বির খান (৬) নামের এক শিশু দুর্ঘটনায় বাম পা হারিয়েছে। চিকিৎসা করানোর জন্য আর্থিক অভাবে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন তার পরিবার। গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর এক দুর্ঘটনায় বাম পা হারায় সে।
উপজেলার লালোর ইউনিয়নের বড় বেলঘরিয়া গ্রামের মো. আল মাহমুদ ও মোছা. আসমানী খাতুন দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে বড় মোবাস্বির খান।
মোবাস্বিরের মা মোছা. আসমানী খাতুন জানান, গত ১৫ ডিসেম্বর বাড়ির পাশে নলবাতা একটি স্কুলের সিঁড়ির উপর বসা অবস্থায় নষ্ট ট্রাক মেরামত করার সময় ট্রাকটি মোবাস্বিরের পায়ের উপর পড়ে ঘটনাস্থলেই পা কেটে পড়ে যায়। পরে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে অপারেশন করা হয়। চিকিৎসায় ১ লাখের উপর খরচ হয়েছে। কিন্তু ট্রাক মালিক আমাদেরকে ৭০ হাজার টাকা দিয়েছে। চিকিৎসক বলেছে, তিনটি অপারেশন করতে হবে, এতে খরচ হবে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা। চিকিৎসক বলেছেন ছেলের বয়স ২২ বছর হলে কৃত্রিম পা লাগিয়ে দিবেন।
আসমানী খাতুন আরও বলেন, আমার স্বামী টাঙ্গাইলে তাঁতের কাজ করে কোনোরকমে সংসার চালায়। ছেলেকে সুস্থ করতে অনেক টাকার প্রয়োজন। কিন্তু এত টাকা কোথায় পাব? যদি চিকিৎসা করানো যায়, তাহলে সে কাটা পা নিয়েও বেঁচে থাকতে পারবে। সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।
লালোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একরামুল হক শুভ বলেন, মোবাস্বিরের বাবা দরিদ্র মানুষ। তাঁতের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। ছেলের চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। এজন্য যার যার জায়গা থেকে এগিয়ে আসতে আহ্বান জানান তিনি।
সাহায্যের জন্য ০১৭০৬৩৯৭৪৩৩ (বিকাশ)
মোছা. আসমানী খাতুন