প্রতিনিধি ৯ মার্চ ২০২৫ , ৫:০৫:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ
বান্দরবানে মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণের মামলায় জড়িত ৪ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। আসামীরা হলেন মো. রাশেদ (২৩), পিতা- নুরুল আলম,মো. কায়ছার (২২), পিতা- মৃত
আব্দুস সালাম,মো. ওমর ফারুক (১৮), পিতা- হাসান আলী,মো. হানিফ (২৪), পিতা- অজ্ঞাত।আসামীরা সকলেই ৩ নং পদুয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড,লোহাগাড়া থানা,চট্টগ্রাম জেলার বাসিন্দা।
রবিবার (৯ই মার্চ) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল,বান্দরবান এর আদালতের বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ জেবুন্নাহার আয়েশা এই আদেশ দেন।
এসময় প্রত্যেক আসামিকে জাবজ্জীবন কারাদণ্ড, এবং ১ লাখ টাকা জরিমানা,অনাদায়ে ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
এদিকে কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে মো. কায়ছার কারাগারে থাকলেও অন্য ৩ জন দন্ডপ্রাপ্ত আসামি এখনো পলাতক।
প্রসঙ্গত মামলার এজহার সুত্রে জানাযায় মোবাইল ফোনে রং নাম্বার কলের সুত্রে মামলার ১নং আসামি রাশেদ এর সাথে পরিচয় হয় ডুলহাজারা মারুফিয়া মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত ছাত্রী ভিকটিম জুলেহা বেগম এর সাথে। দীর্ঘদিন মোবাইল ফোনে কথাবার্তায় জড়িয়ে পড়ে প্রেমের সম্পর্কে।এক পর্যায়ে আসামি রাশেদ ২০২১ সালের ২ই জানুয়ারি মোবাইল ফোনে ভিকটিম মাদ্রাসা ছাত্রী জুলেহা বেগম কে বিয়ের প্রস্তাব দেয়।বিয়ের প্রস্তাবে বিশ্বাস ও প্রেমের টানে পরের দিন সে চলে আশে আমিরাবাদে।ভিকটিমের মোবাইলে কল করে মামলার ৩নং আসামী ওমর ফারুক জানায় রাশেদ আসতে দেরি হবে,তাই তার সাথেই পদুয়া বাজারে যেতে হবে।পদুয়া বাজারে একটি খবার হোটেলে দেখা হয় ভিকটিমের সাথে রাশেদের।পদুয়া বাজারে আশে মামলার ২ নং আসামি কায়সার ও ৪ নং আসামি হানিফ।পরে একসাথেই একটি সিএনজি টেক্সিতে করে ভিকটিম ছাত্রীকে নিয়ে কাজি বাড়ির উদ্দেশ্যে তারা রওনা হয়।
পরে সিএনজি টেক্সিটি বান্দরবান সদর উপজেলার ৪নং সুয়ালক ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মেনপং ম্রো এর খামারের পশ্চিমের বনবিভাগের রিজার্ভ পাহাড়ের ঢালে চলে আশে এবং ভিকটিম মাদ্রাসা ছাত্রী কে রাশেদ ও তার অন্য সহযোগীরা পালাক্রমে ধর্ষণ করে।পরে স্থানীয়রা মেয়েটির চিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার করে এবং রাশেদ সহ তিন জন সহযোগীকে আটক করে থানায় প্রেরণ করে।