প্রতিনিধি ১৬ অক্টোবর ২০২২ , ৭:৩১:০৭ প্রিন্ট সংস্করণ
বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি:
প্রতিদিনই আতঙ্কে দিন কাটছে সীমান্তবাসীর আবারো ১৬ দিন বন্ধের পর সীমান্তে পরপর ৪টি মর্টার শেলের গোলায় কেঁপে উঠলো তুমব্রু বাজার ও আশপাশের ১৩ টি গ্রাম।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা জানান, মিয়ানমার রাখাইন প্রদেশের সেনা ও বিদ্রোহী গ্রুপ এর মাঝে চলমান দীর্ঘদিন যাবত সংঘর্ষের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্ত পিলার ৪১, ৪০, ৩৯, ৩৮, ৩৭ , ৩৬ , ৩৫ , ৩৪ , ৩১ এলাকায় সেনা বিজিপি ও বিদ্রোহী আরকান আর্মির মাঝে প্রচন্ড সংঘর্ষ চলমান রয়েছিল এবং সেনা বিজিপি প্রচুর পরিমাণ ভারী অস্ত্র মটর শেল ও সামরীক হেলিকপ্টার/ফাইটার বিমান হতে বৃষ্টির মত গোলা বর্ষণ করেছিল।
গত ১৬ দিন যাবত সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল ব্যবসায়ী আবদুল কাদের গ্রাম পুলিশ আবদু জাব্বার জানান, প্রায় ১৬ দিন পর রবিবার (১৬ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৩ টায় হঠাৎ সীমান্ত পিলার ৩৪ সংলগ্ন মিয়ানমারের তুমব্রু রাইট বিজিপি ক্যাম্প হতে পর পর ৪টি ভারী অস্ত্রের মটর শেল ফায়ার করলে বাংলাদেশের নাইক্ষ্যং ছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন এর তুমব্রু ও বাইশ ফাঁড়ী এলাকা ১৩ টি গ্রাম ভূমিকম্পের ন্যায় কেঁপে উঠে। যার ফলে সীমান্ত এলাকায় বসবাশরত বাংলাদেশের লোকজনের মাঝে পূর্ণরায় নতুন করে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজ বলেন, হঠাৎ মর্টারশেলের আওয়াজে তার পরিষদ যেন ভেঙ্গে পড়ছিল আবস্থা হয়েছিলো বলে তার নাইটগার্ড তাকে বলেছে। এছাড়া এলাকার লোকজনের মাঝে এ আওয়াজে চরম আতংক দেখা দেয়। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা ফেরদৌস কে অবহিত করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা ফেরদৌস জানান ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে মর্টারশেলের আওয়াজের কথা শুনেছেন সীমান্তে বসবাস রত সকলকে নিরাপদে চলাফেরা করার জন্য চেয়ারম্যান কে বলা হয়েছে।
৩৪ বিজিবির একটি সূত্র জানায় তাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিজিবি কঠোর অবস্থানে আছে সিমান্তে তাদের সদস্য বৃদ্ধি করা হয়েছে, টহল জোরদার করা হয়েছে সীমান্ত দিয়ে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকানোর জন্য সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।