প্রতিনিধি ৬ এপ্রিল ২০২৩ , ৫:৩৩:১৭ প্রিন্ট সংস্করণ
ভোরের দর্পণ ডেস্ক :
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার গণতান্ত্রিক পরিসরকে সংঙ্কুচিত করে হত্যা, গুম, খুন ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে ভীতি প্রদর্শন করে বিরোধীদলকে নির্মূল করতে চায়।
মির্জা ফখরুল বলেন, সভায় ঢাকার বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ব্যবসায়ীদের ক্ষয়ক্ষতির জন্য দুঃখ প্রকাশ করা হয়। সভা মনে করে, পর পর এই ধরনের অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করার ফলেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর উদাসীনতা, অযোগ্যতা, দুর্নীতি ও নজরদারির অভাবের কারণে ভয়াবহ পরিনতির স্বীকার হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
সভায় বঙ্গবাজারসহ অন্যান্য স্থানে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এবং অবিলম্বে বঙ্গবাজারসহ সকল বাজারে অগ্নিনির্বাপন ও সকল নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণের দাবি জানানো হয়।
মহাসচিব বলেন, সভায়, বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দল ঘোষিত কর্মসূচি পালনের সময় দেশের বিভিন্ন জেলায় বিনা অজুহাতে আওয়ামী সন্ত্রাসী ও পুলিশ কর্তৃক নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানানো হয়। এ ধরনের হামলা ও গ্রেফতার থেকে প্রমাণ হয় যে গণতান্ত্রিক পরিসরকে সংঙ্কুচিত করে হত্যা, গুম, খুন ইত্যাদি সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে ভীতি প্রদর্শন করে বিরোধী দলকে নির্মূল করতে চায়। সভা অবিলম্বে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানায়।
এছাড়া সম্প্রতি নওগাঁয় র্যাব কর্তৃক সরকারি প্রতিষ্ঠানের নারী কর্মকর্তা সুলতানা জেসমিনকে বেআইনীভাবে তুলে নিয়ে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যার তীব্র নিন্দা জানায় এবং অবিলম্বে দায়ী র্যাব কর্মকর্তা, সরকারের যুগ্ম সচিব আজিজুল হকরে বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানায়। সভায় এ বিষয়ে জনমত গড়ে তুলোর জন্য যথাযথ কর্মসূচি প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট প্রয়োগ করে জনগণের স্বাধীন মতপ্রকাশ স্বাধীনতা হরণ, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ, সাংবাদিক এবং নাগরিকদের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ও নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
ভার্চুয়াল সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যরিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। মহাসচিব সিদ্ধান্ত সমূহ বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে সভাকে অবহিত করেন।