প্রতিনিধি ৪ অক্টোবর ২০২৩ , ৪:২১:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে গৃহবধুকে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
গলায় রশিসহ ডহরনগর ফাঁড়ির উপপরিদর্শক আসলাম তাঁর লাশ ঘরের মেঝ থেকে উদ্ধার করেন।
রোববার সকালে (১ অক্টোবর) লাশের সুরতহাল করে ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেলে পাঠিয়েছে।
নিহত গৃহবধু জেসমিন (৩০) উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের ধুলজোড়া গ্রামের আবু বক্কার শেখের স্ত্রী।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের ধুলজোড়া গ্রামের আব্দুল মান্নান শেখের ছেলে আবু বক্কার শেখ(৩৮) একই ইউনিয়নের মোড়া গ্রামের আজিজার মোল্যার মেয়ে জেসমিন (৩০) এঁর বিবাহ হয়। তাদের ওরশে দুই ছেলে মেয়ে রয়েছে।
স্বামীর পরিবারের দাবী ওই গৃহবধু বসত ঘরের আঁড়ার সাথে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে গৃহবধুর বাবার পরিবারের দাবী তাদের মেয়েকে নির্যাতন করে গলায় রশি পেঁচিয়ে মেরে ফেলে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে। আমাদের মেয়ে বা যে কেউ গলায় ফাঁস নিলে বিশগিট্রু (একাধিক বাধন) দিলে কিভাবে গলায় ফাঁস নেয়া যায় এটা ভাবলেই বোঝা যায় ওরা আমাদের মেয়েকে মেরে ফেলেছে।
আমরা এর সঠিক বিচার চাই। আবু বক্কারের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি গাঁ ঢাকা দিয়েছে। আবু বক্কারের ভাই মহাসিন বলেন,
গৃহবধুর শ্বাশুড়ী বলেন, আমার ছেলের বউয়ের পেটে ব্যাথা ছিল, তার মথায় সমস্যা আছে। এজন্য হয়তোবা সে গালায় ফাঁসি নিয়ে মারা গেছে। আমি এসে দেখি গলায় রশি দেয়া লাশ মাটিতে পড়াছিল।
গৃহবধুর মা বলেন, আমার মেয়েকে গলায় রশি পেঁচিয়ে মেরে পেলেছে ওরা। আর আমার মেয়ে জামাই মেয়েকে অনেক মারধর করতো, এবং জামায়ের ভাই এর আগে আমার হাতে রামদা দিয়ে কোপ মেরে তাদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। ওরা ছয় মাস আগে আমার মেয়ের হাত ভেঙে দিয়েছিল। ওরা আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে। আমি ওর ফাঁসি চাই।
ডহরনগর ফাঁড়ি পুলিশ জানান, খবর পেয়ে ঘটনা স্থল থেকে গৃহবধুর গলায় রশি অবস্থায় তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। এসময় তাঁর কান দিয়ে রক্ত পড়ছিল বলে জানান। লাশ পোস্টমর্টেমে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে বোঝা যাবে প্রকৃত মৃত্যুর কারণ কি। আপাতত নিহত গৃহবধুর বাবার পরিবার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, গৃহবধুর বাবার পরিবার থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।