প্রতিনিধি ২ অক্টোবর ২০২১ , ৬:৪২:০৫ প্রিন্ট সংস্করণ
আসাদুজ্জামান শামিম, ঠাকুরগাঁও :
ঠাকুরগাঁওয়ের হাটবাজার, রাস্তাঘাট ও সড়কের মোড়ে নীতিমালা লঙ্ঘন করে অনুমোদন ছাড়াই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার। পাশাপাশি বোতল ও জারিকেনে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে দাহ্য পদার্থ পেট্রোল। যদিও অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া পেট্রোল জাতীয় দাহ্য পদার্থ বিক্রি নিষেধ তবুও তা মানছে না কেউ। যে কোনো সময় বিস্ফোরণ ও দাহ্য পদার্থ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে প্রাণহানি ঘটার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পৌরশহরের সত্যপীর ব্রিজ, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, কালিবাড়ী বাজার মুদির দোকান, ফলের দোকান, পান দোকান, ওষুধের দোকান, কাঁচামালের দোকানসহ বিভিন্ন ধরনের দোকানে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার ও পেট্রোল সারিবদ্ধভাবে বিক্রির জন্য রাখা হয়েছে। এছাড়া পৌর শহরের বাইরে বড় খোচাবাড়ী, ছোট খোচাবাড়ী, ভুল্লিবাজার, গড়েয়া বাজার, চৌধুরী হাট বাজারসহ প্রতিটি ছোট-বড় বাজারে খোলা জায়গায় বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার ও পেট্রোল।
এ বিষয়ে বড় খোচাবাড়ি বাজারের মুদি দোকানি রেদওয়ান ইসলাম বলেন, এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রিতে লাইসেন্স নিতে হয় এ বিষয়টি তার জানা নেই। পৌরশহরের সত্যপীর ব্রিজ এলাকার গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রিতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। এলাকার মানুষজন দোকান থেকে দিনে দুএকটা গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে যায়। লাইসেন্স করতে ও পেতে অনেক সময় লেগে যায়। তাই অল্প অল্প করে ডিলারদের কাছ থেকে সিলিন্ডার নিয়ে এসে বিক্রি করি।
গড়েয়া বাজারে স্থানীয় এক স্কুল শিক্ষক বলেন, বাজারে গ্যাস সিলিন্ডার সঙ্গে ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে উঠছে পেট্রোল জাতীয় পদার্থ। এ সব অধিকাংশ দোকানের ক্রেতাদের বিক্রিতারা চেনেন না। দুস্কৃতকারীদের হাতের নাগালে এ পেট্রোল খুবই বিপজ্জন। এ সব দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা উচিত।
ঠাকুরগাঁও ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. সরোয়ার হোসাইন জানান, যত্রতত্র ভাবে রাস্তার পাশেও গ্যাস সিলিন্ডার রাখা হচ্ছে। এতে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই গ্যাস সিলিন্ডারে ধাক্কা লাগলে বড় ধরণের অগ্নিকান্ড ঘটে যেতে পারে। নীতিমালা মেনে ব্যবসা করতে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন ভাবে তাগাদা দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে লিফলেট বিতরণসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মার্কেটগুলোর পাশে উম্মুক্ত জায়গাতে এ সব গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে। প্রতি তিনমাস পরপর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। নিয়ম নীতি না মেনে এভাবে বিক্রি করার সুযোগ নেই জানিয়ে এ কর্মকর্তা বলেন, যারা এ ধরনের কর্মকান্ডে জড়িত তাদের অর্থদন্ড ও সতর্ক করা হচ্ছে।