প্রতিনিধি ১৪ অক্টোবর ২০২০ , ২:২৬:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ
বুধবার (১৪ অক্টোবর) ঢাকা-৫ ও ঢাকা-১৮ আসনের নির্বাচন নিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে এক বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমলে নেয়ার মতো কোন ধরনের অসুবিধা নেই। বিএনপি ছোট কিছু অভিযোগ করেছে। ব্যাপক কোনও অভিযোগ পাইনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, কেন্দ্রে এজেন্টদের নিরাপত্তা দেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আসতে অসুবিধা হলেও নিরাপত্তা দিয়ে পৌঁছে দেয়া হবেও বলে জানান সিইসি।
কে এম নূরুল বলেন, ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যায় না, এটির কাগজে কলমে হিসাব পাই না। ব্যাপক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতামূলক না হওয়ায় ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যাওয়ায় আগ্ৰহী হচ্ছে না। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ইভিএমে আস্থা রাখছে।
এর আগে, মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের জানান যে, ফরিদপুর-৪ আসনের সাংসদ মুজিবর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিইসি এদিন বলেন, ‘আমরা জানি, অভিযোগ আছে। অভিযোগটা আমরা সঙ্গে সঙ্গে জেনেছি। কমিশনারদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করেছি। যা করণীয় আজকালের মধ্যেই সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য যে আচরণ করেছেন সেটা কাম্য নয়। তিনি নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন। আইনে যেরকম বিধিবিধান আছে, তার ব্যাপারে আইনের বিধিবিধান প্রযোজ্য হবে। এতটুকু বলতে পারি।’
নির্বাচনী আইনে মামলা করার বিধান রয়েছে, আপনারা কি মামলা করবেন এ প্রশ্নের জবাবে নূরুল হুদা বলেন, ‘যদি মামলা করার বিধান থাকে মামলাই করব। আমরা এখনও সিদ্ধান্ত নিইনি।’
অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আইনে যা আছে, যা যা করা সম্ভব, আমরা সবকিছুই করার জন্য প্রস্তুত আছি।’
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসককে (ডিসি) হুমকি ও নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তাদের গালিগালাজ করার অভিযোগে উঠেছে নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে।