চট্টগ্রাম

উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অসহায় বৃদ্ধের ঘর নির্মাণ

  প্রতিনিধি ২৯ এপ্রিল ২০২১ , ৬:২৬:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:

চট্টগ্রাম হাটহাজারীতে এক অসহায় বৃদ্ধের ঘর নির্মাণ করে দিয়েছে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন। প্রশাসন সূত্রে জানা যায় একসময় সবকিছু ছিল রনজিতের। স্ত্রী পুত্র কন্যা নিয়ে চলছিল সুখের সংসার। স্ত্রী রেখা রানী চৌধুরী এসএসসি পাস হওয়ার সুবাদে পাড়ায় ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের পড়াত।

ছেলে বাসু চৌধুরী পল্লী চিকিৎসক হিসেবে আশে পাশে গ্রামে চিকিৎসা সেবা দিতেন। মেয়েকে এসএসসি পাস করিয়ে বিয়ে দিয়েছিলেন সমভ্রান্ত এক পরিবারে। পেশায় রং মিস্ত্রি রনজিতের দিনকাল ঠিকভাবে চলছিল।

হঠাৎ এক বিপদ নেমে আসে রনজিতের পরিবারে। এক ব্যাধিতে রনজিতের পুত্র কন্যা দুজনই মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। পাগল প্রায় হয়ে তারা ঘুরতে থাকে পথে প্রান্তরে। ছেলে-মেয়ের এহেন দুর্ভাগ্যজনক পরিণতিতে মুষড়ে পড়েন সত্তরোর্ধ বৃদ্ধ রনজিত। অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকেন ঘরে। তার ষাটোর্ধ বয়সের স্ত্রী মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে অসুস্থ স্বামী ও মানসিক ভারসাম্যহীন দুই পুত্র কন্যার মুখে আহার তুলে দিতে প্রাণান্তকর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এহেন অবস্থায় বছরের পর বছর মেরামতের অভাবে বৃদ্ধ রনজিতের একমাত্র ঘরটি জরাজীর্ণ হয়ে ভেঙ্গে মাটিতে পড়ে যাওয়ার উপক্রম।

চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী পৌরসভার ফটিকা গ্রামের হিন্দু পাড়ায় অসহায় রনজিতের এই দুরবস্থার খবর স্থানীয় এক সাংবাদিকের নিকট জানতে পেরে তাৎক্ষণিক ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমিন। কিছুদিন আগে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে তড়িৎ নির্দেশ দেন অসহায় রনজিতকে ঘর তৈরী করে দেয়ার জন্য।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমিন জানান স্থানীয় এক সাংবাদিকের মাধ্যমে ঘটনা জানার পর তড়িৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করি। এ জরাজীর্ণ এই পরিবারের ঘরটি নির্মান করে দিতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। মানুষের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি তাই সৃষ্টিকর্তার নিকট কৃতজ্ঞতা আদায় করছি।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by