বাংলাদেশ

‘এলডিপি নেতার গুলি ছোড়ার পেছনে বিএনপির হাত থাকতে পারে’

  প্রতিনিধি ১০ মে ২০২২ , ৬:৫২:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ

কুমিল্লায় এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদের গুলি ছোড়ার ঘটনায় বিএনপির শীর্ষ কোনো নেতার হাত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

আজ মঙ্গলবার (১০ মে) বিকেল ৪টার দিকে রংপুরে আওয়ামী লীগের মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে এসে সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নানা ধরনের কথা বলছেন। এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ আসলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব কিংবা বিএনপির কোনো শীর্ষ নেতার নির্দেশে গুলি ছুড়েছেন কি না, সেটি খতিয়ে দেখা দরকার।

ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে নিশ্চয়ই আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে। যারাই দোষী সাব্যস্ত হবে, তাদের ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কুমিল্লায় এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদের গুলি ছোড়ার ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক, ন্যক্কারজনক এবং প্রচণ্ড নিন্দনীয়। সেখানে আমাদের দলের কর্মীরা জমায়েত হয়েছিল। রেদোয়ান আহমেদ সেখানে গিয়েছেন। একটি তরমুজ ছুড়ে মারার প্রত্যুত্তরে রেদোয়ান আহমেদ গুলি ছুড়েছেন। আমাদের দলের দুজন গুলিবিদ্ধসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি বাহিনীর দিকে যখন শিশুরা ঢিল ছোড়ে, প্রত্যুত্তরে তখন তারা গুলি ছোড়ে। রেদোয়ান আহমেদও ইসরায়েলি বাহিনীর মতো গুলি ছুড়েছেন মনে করে মন্ত্রী বলে, আমাদের ছেলেরা ঢিলও ছোড়েনি, শুধু একটা তরমুজ ছুড়ে মেরেছে। সেটির প্রত্যুত্তরে রেদোয়ান গুলি ছুড়েছেন। তার এই গুলি ছোড়ার পক্ষে সাফাই গেয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

টিআইবি আর বিএনপি নেতা রিজভী আহমেদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই দাবি করে হাছান মাহমুদ বলেন, ইদানীং টিআইবি কথায় কথায় বিবৃতি দেন। মধ্যরাতে টিটিই নিয়ে একটা ঘটনা ঘটেছিল। পরদিন সকালবেলায় কোনো খোঁজখবর না নিয়েই টিআইবি একটা বিবৃতি দিয়ে দিল। টিআইবি আর রিজভী আহমেদের মধ্যে কোনো পার্থক্য খুঁজে পাচ্ছি না। রিজভী সাহেব যেমন ঘটনা ঘটার আগেই বিবৃতি লিখে রাখেন, এখন টিআইবিও মনে হচ্ছে ঘটনার আগেই বিবৃতি লিখে রাখছে।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী শাহাজান খান এমপি, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আশিকুর রহমান এমপি, রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিউর রহমান সফি, সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজু প্রমুখ।

পরে বিকাল ৫টায় তিনি রংপুর টাউন হল অডিটরিয়ারে অনুষ্ঠিত কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন। মহানগরের অন্তর্ভুক্ত ছয় থানার মধ্যে বড় থানা হচ্ছে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানা। ১৪টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এ থানার মোট কাউন্সিলর ৪৪৯ জন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by