বাংলাদেশ

খালেদা জিয়ার এখনও জ্বর আছে, নেই খাবারের রুচি

  প্রতিনিধি ১৫ অক্টোবর ২০২১ , ৫:১৯:০৬ প্রিন্ট সংস্করণ

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শরীরে এখনও থেমে-থেমে জ্বর আসছে। এ কারণে খাবার খাওয়ায় তার তেমন কোনো রুচি। গত কয়েক দিন ধরে তিনি খুবই অল্প পরিমাণে খাবার খাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

পরিবার ও চিকিৎসক সূত্রে জানা গেছে- গত ১২ অক্টোবর জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। এরপর তার আল্ট্রাসনোগ্রামসহ বেশকিছু পরীক্ষা করা হয়েছে। মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা পরীক্ষার রিপোর্টগুলো পর্যালোচনা করে সে অনুযায়ী ওষুধ দিয়েছেন। কিন্তু তারপরও মাঝে-মাঝে তার শরীরে জ্বর আসছে। এই কারণে খাবারের তেমন কোনও রুচি নেই তার।

শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) সকালে খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম বলেন, তার সঙ্গে আমি দেখা করতে যাইনি। বয়সের কারণে আমাদের হাসপাতালে যেতে নিষেধ করছে। গতকাল আমার ভাইয়ের স্ত্রী দেখা করে এসেছে। এখনও তার (খালেদা জিয়া) শরীরে জ্বর আছে। খাবারের রুচি একদমই নেই।

চিকিৎসকদের নির্দেশ অনুযায়ী খালেদা জিয়া তার নিজ বাসার বার্চুচির রান্না করা খাবারই খাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সেলিমা ইসলাম। তিনি বলেন, এমনিতে তিনি খুব কম খাবার খান। জ্বরের কারণে গত কিছুদিন খুবই যৎসামান্য খাবার খাচ্ছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খালেদা জিয়ার এক ব্যক্তিগত চিকিৎসক বলেন, আমি গতকাল ম্যাডামকে দেখে এসেছি। ধীরে ধীরে জ্বর কমে আসলেও তিনি অন্যান্য অনেক রোগে আক্রান্ত। এজন্য গত দুই দিনে তার বেশ কিছু পরীক্ষা করানো হয়েছে। কিছু পরীক্ষার রিপোর্ট হাতেও পেয়েছি। সেই অনুযায়ী ওষুধও দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার বয়স এবং শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় নিলে দেশে নয়, এখন তার বিদেশে চিকিৎসা প্রয়োজন। একসঙ্গে অনেকগুলো রোগের চিকিৎসার জন্য যে ধরনের আধুনিক মেডিকেল সেন্টার দরকার, আমাদের সেটা নেই।

এক প্রশ্নের জবাবে এই চিকিৎসক বলেন, আমাদের কাজ হচ্ছে চিকিৎসা দেওয়া। তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানো হবে কিনা সেটা তার পরিবার ও সরকারের বিষয়। এখানে চিকিৎসক হিসেবে আমাদের কিছু করার নেই।

খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠাতে নতুন করে সরকারের কাছে আবেদন করা হবে কিনা জানতে চাইলে বোন সেলিমা ইসলাম বলেন, আমরা তো দুইবার সরকারের কাছে আবেদন করেছি। একবার আমার ভাই (শামীম ইস্কান্দার) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অফিসে গিয়ে দেখা করেও এসেছেন। তারপরও তো অনুমতি দেয়নি। মহাসচিব (মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) গতকালও তার বক্তব্যে বলেছেন- তার দেশে চিকিৎসা সম্ভব নয়। বিদেশে পাঠানো দরকার। সরকারকে খালেদা জিয়াকে জামিন দিতে বলেছেন।

তিনি আরও বলেন, এখন তো তার (খালেদা জিয়া) সঙ্গে আমার কথা হয়নি। তার কি মতামত সেটা না নিয়ে তো কিছু করার যাবে না। মতামত নেওয়ার পর এই (আবেদন) বিষয়ে চিন্তা করা যেতে পারে।

গত ১২ অক্টোবর দ্বিতীয় দফায় চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাসপাতালে তার ব্যক্তিগত স্টাফ ফাতেফা বেগম ও সুমি রয়েছেন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by