বাংলাদেশ

গণতন্ত্রের পথচলা মসৃণ না হলে কখনো উন্নয়ন হয় না : তথ্যমন্ত্রী

  প্রতিনিধি ৮ এপ্রিল ২০২৩ , ৪:১৩:৫১ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক :

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সংসদীয় গণতন্ত্র এবং উন্নয়ন অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। গণতন্ত্রের পথচলা যদি মসৃণ না হয়, উন্নয়ন কখনো হয় না। গণতন্ত্রের নামে কসমেটিক সার্জারি হয়।

তিনি বলেন, যখন সংসদীয় গণতন্ত্র ছিল না, মার্শাল ডেমোক্রেসি ছিল, তখন কসমেটিক সার্জারির মতো উন্নয়ন হয়েছিল। প্রকৃত উন্নয়ন তখন হয়নি। গত তিনটি সংসদে নিরবিচ্ছন্নভাবে সংসদীয় গণতন্ত্র চালু থাকার পরিপ্রেক্ষিতে, সংসদে জবাবদিহিতা থাকার পরিপ্রেক্ষিতে দেশে উন্নয়ন অগ্রগতি হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নতির চরম শিখরে উন্নীত হয়েছে। বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির প্রশংসা করা হচ্ছে।

আজ শনিবার জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ ধারায় প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা ৭ এপ্রিল আনীত এক প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে ১৯৮৮ সালে প্রধান দলগুলোবিহীন একটি নির্বাচন করে তখন আ স ম রব সাহেবকে গৃহপালিত বিরোধী দলীয় নেতা বানিয়ে সংসদকে হাস্যকর স্থানে পরিণত করা হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি বেগম খালেদা জিয়া ভোটাবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচন করে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি কর্নেল রশীদকে বিরোধী দলীয় নেতা বানিয়ে সংসদকে কলঙ্কিত করেছিল। এই সংসদে বিভিন্ন সময় বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্যরা অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল ও অসংসদীয় ভাষা ব্যবহার করেছে, যেভাবে সংসদের মাইক, খাতাপত্র, বইপত্র ছুঁড়েছে, এতেও সংসদের মানমর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে। সবচেয়ে দুঃখজনক হলো, ২০০৭ সালে এই সংসদের স্পিকারের বাসভবন, চিফ হুইপের বাসভবনকে কারাগারে রূপান্তর করা হয়েছে এবং এই সংসদে জননেত্রী শেখ হাসিনা যিনি প্রধানমন্ত্রী, সংসদ নেতা, বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তার বিচারের জন্য এখানে আদালত বসানো হয়েছে। একই সাথে বেগম খালেদা জিয়া যিনি প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতার দায়িত্ব পালন করেছেন, তার বিচারের জন্যও এখানে আদালত বসানো হয়েছে। এভাবে এই সংসদ চত্ত্বরকে, সংসদকে কলঙ্কিত করা হয়েছিল। এটি স্পষ্টত সংসদকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য, সংসদীয় গণতন্ত্রের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গলী প্রদর্শন করার জন্য, গণতন্ত্রকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ২০০৭ সালে ঢাকা শহরে এত জায়গা থাকা সত্ত্বেও এখানে আদালত বসানো হয়েছিল এবং এখানে কারাগার বানানো হয়েছিল। সেই কাজটি যারা করেছিলেন, তারা দায়িত্ব এড়াতে পারে না। সংসদের ৫০ বছর পূর্তিতে বলতে চাই- যারা এই কাজটি করেছিলেন, তাদের বিচারের আওতায় আনা প্রয়োজন কিনা, সেটি ভেবে দেখা প্রয়োজন।’

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৯১ সালে নির্বাচনের পর যখন রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা ছিল, তখন বঙ্গবন্ধু কন্যা আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য দাবি উপস্থাপন করেছিলেন। সেই দাবি নিয়ে অনেক তালবাহানা হয়েছিল, বিএনপি এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সংসদ নেতা বেগম খালেদা জিয়া এতে রাজি ছিলেন না। অনেক তালবাহানার পর শেখ হাসিনার সহযোগিতার মাধ্যমে তৎকালীন বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের ভোট দানের মাধ্যমে আমরা আবার সংসদীয় গণতন্ত্রে ফিরে এসেছিলাম।

সূত্র : বাসস

আরও খবর

Sponsered content

Powered by