দেশজুড়ে

চাটখিলে পতাকা দিবস উপলক্ষে জেএসডি’র আলোচনা সভা

  প্রতিনিধি ১ মার্চ ২০২৫ , ৬:৩৯:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ

চাটখিলে পতাকা দিবস উপলক্ষে জেএসডি’র আলোচনা সভা

পতাকা দিবস উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি চাটখিল উপজেলা ও পৌর শাখার উদ্যোগে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। জেএসডি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও উপজেলা জেএসডি’র সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ হাবিবুর রহমান এর সভাপতিত্বে পৌরসভার ভীমপুর হাই স্কুল মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেএসডি’র কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ উল্যাহ, বিশেষ অতিথি ছিলেন জেএসডি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আমির হোসেন বিএসসি ও জেএসডি আমেরিকা শাখার নেতা মোঃ রফিক উল্যা মনু।

সভায় বক্তব্য রাখেন জেএসডি নেতা শাহাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবদুল্লাহ খোকন, উপজেলা নেতা রেজাউল করিম, পৌর সভাপতি প্রফেসর দীন মোহাম্মদ প্রমূখ। সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে দেখা যায় রাজনৈতিক দলগুলো কথায় আর কাজে কোন মিল নেই। তাই স্বাধীনতার এত বছর পরেও দেশবাসী স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারেননি। ১৯৭১ সালে যখন জাতি দিশেহারা তৎকালীন সময়ে স্বাধীনতার রূপকার সিরাজুল আলম খানের নিউক্লিয়াস দেশবাসীকে স্বাধীনতার দিকে ধাবিত করে।

তারই অংশ হিসেবে ১৯৭১ সালের ২রা মার্চ ঐতিহাসিক বটতলায় লাখো জনতার মাঝে নিজের জীবনকে বাজি রেখে পাকিস্তানি সেনাদের উপস্থিতিতে পাকিস্তানি পতাকা পুড়ে পেলে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন তৎকালীন ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের নেতা ডাকসুর ভিপি আ. স. ম. আবদুর রব।

পরের দিন বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতিতে পল্টন ময়দানে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা শাহজাহান সিরাজ স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন। স্বাধীনতার পতাকা এবং ইশতেহার পাঠের পরে আর স্বাধীনতা ঘোষনার প্রয়োজন হয় না। তারপরও এরই ধারাবাহিকতায় তৎকালীন ছাত্রনেতাদের চাপে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ৭ই মার্চ পল্টন ময়দানে ঐতিহাসিক ভাষন দেন।

বক্তারা বলেন, ২রা মার্চ ও ৩রা মার্চ কে জাতীয় দিবস ঘোষণার জন্য অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে আমরা জোর দাবি জানিয়েছি। বক্তারা আরো বলেন, দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের পর ৫ই আগস্ট স্বৈরাচারী সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার দেশ চালাচ্ছে। কিন্তু স্বৈরাচারের পতন হলেও এখনও দেশের মানুষ স্বস্তি পাচ্ছে না। হামলা মামলা লেগেই আছে। দখল-পাল্টা দখল চলছেই। এটার জন্য শত শত ছাত্রজনতা প্রাণ দেয়নি। তারা বৈষম্যবিরোধী একটা সমাজ ব্যবস্থার দাবীতেই আন্দোলন করেছিলেন। তাই জেএসডি’র বক্তব্য স্পষ্ট আগে রাষ্ট্র সংস্কার, পরে নির্বাচন। নইলে আবারও স্বৈরাচার সৃষ্টি হবে। সভা পরিচালনা করেন জেএসডি নেতা জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া ও ফিরোজ আলম।

আরও খবর

Sponsered content